এনসিটিবির সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হাম*লার ঘটনায় নিন্দা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয় এ তথ্য।
এই বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার এই হামলার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এরইমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে জনতার হিংস্রতা, জাতিগত বিদ্বেষ এবং গোঁড়ামির কোনো স্থান নেই। যারা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি এবং আইনশৃঙ্খলার ক্ষতিসাধনে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘আইন গরিবের জন্য, বড়লোকরা বিভিন্নভাবে রক্ষা পায়’
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সকালে এনসিটিবির সামনে অবস্থান নেয় স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামের একটি সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। পরে এনসিটিবির সামনে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার নামে বেশ কিছু শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে আসলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আসা মানুষের ওপর হামলা চালানো হয়। এর বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যাতে লাঠি, বাঁশ দিয়ে কয়েকজনকে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৮ জন আহত হন।
আরও পড়ুনঃ ব্র্যাক ইউনি*ভার্সিটিতে নাসার প্র*ধান নভো*চারী জোশেফ এম আ*কাবা
স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেয় এনসিটিবি। গত রবিবার এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে নিন্দা ও ক্ষোভ জানায় বেশ কিছু পাহাড়ি সংগঠন