ঢাকা, ২৮ মে ২০২৫ (মঙ্গলবার) — রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত হলো “তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ”, যেখানে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর বিভাগের হাজারো তরুণ-তরুণী জড়ো হয়ে নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের দাবিতে সোচ্চার হন।
সমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টন এলাকায় ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। ব্যানার, পোস্টার, স্লোগান ও আবেগময় বক্তৃতায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আয়োজকদের ভাষ্য মতে, এটি ছিল কোনো রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়— বরং একেবারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে ওঠা তরুণদের সম্মিলিত দাবি আদায়ের একটি প্ল্যাটফর্ম।
সমাবেশে অংশ নেওয়া তরুণেরা অভিযোগ করেন, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নেই। বক্তারা বলেন, “তারুণ্য শুধু ভোট ব্যাংক নয়— তারুণ্য হতে চায় নীতিনির্ধারক। আমাদের কথা শুনতে হবে, আমরাও সিদ্ধান্তে অংশ নিতে চাই।”
একজন শিক্ষার্থী বলেন, “যে দেশে ৬৫ শতাংশ মানুষ তরুণ, সেই দেশে তরুণদের কথা কেউ শোনে না— এ অবস্থা বদলাতেই আজ আমরা রাস্তায়।”
রাজনৈতিক দলগুলোর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তরুণদের অন্তর্ভুক্তি
শিক্ষানীতি ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় তরুণবান্ধব সংস্কার
স্থানীয় সরকার ও সংসদ নির্বাচনে তরুণ প্রার্থীদের উৎসাহ ও সহায়তা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ছাত্র রাজনীতিকে গণমুখী ও স্বচ্ছ করার উদ্যোগ গ্রহণ
সকাল থেকেই ঢাকা ছাড়াও ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর থেকে বাস, মাইক্রোবাস ও ট্রেনে করে তরুণেরা এসে হাজির হন নয়াপল্টনে। নিজ নিজ বিভাগের ব্যানার নিয়ে তারা অংশ নেন শোভাযাত্রা ও গণসংগীতে।
পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে পুরো কর্মসূচি ছিল সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ। তবে তরুণদের বার্তা ছিল দৃঢ়: “আমরা কণ্ঠ চাই, নেতৃত্ব চাই, ভবিষ্যৎ নির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা চাই।”
সমাবেশের এক আয়োজক জানান, এটি ছিল বৃহত্তর একটি আন্দোলনের সূচনা। আগামী দিনে বিভাগীয় শহরগুলোতে ধারাবাহিক কর্মসূচি নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এই তরুণরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়বে— সুযোগ পেলে, নেতৃত্বে এলে।”