ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

২০১৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে চাঁদপুর শহরে ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সমর্থকগোষ্ঠীর হামলা এবং গুলি চালায়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম (২০)। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপুমনিসহ ৪৯০ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে চাঁদপুর সদর আমলী আদালতে হত্যার শিকার তাজুল ইসলামের বড় ভাই মো. ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন আরাফাত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
মামলায় এজহার নামীয় ১৪০জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামী ৩০০ থেকে ৩৫০জনকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনির বড় ভাই ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে ১৮ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সমর্থকগোষ্ঠী ব্যাপক হামলা এবং গুলি চালায়। ওই হামলায় তাজুল ইসলাম (রতন) এর বুকের বামপাশে গুলিবিদ্ধ হয় এবং ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে। একই সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩০০জন আহত হয়।
এই ঘটনার পর ১ ও ২ নম্বর আসামীর নির্দেশে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে নিহতের সুরতহাল ও তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় এবং বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে ও আসামীদের হুমকি ধমকিতে ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হন। গেল বছর ৫ আগস্টের পরে স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ায় ফলে সার্বিক পট পরিবর্তন এবং বাক স্বাধীনতা ফেরত পাওয়ায় মামলা করতে বিলম্ব হয়।
রাতে মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বাদী মো. ফারুকল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় পরিবেশ অনুকুলে না থাকা ও বিবাদী পক্ষের নানা হুমকি ধমকির কারণে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। ন্যয় বিচারের জন্য বিলম্ব হলেও মামলা দায়ের করেছি। আশাকরি আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাব।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের জিলানী মিল্টন জানান, ঘটনার পর মামলা দায়ের করার পরিবেশ না থাকায় প্রায় একযুগ পরে বাদী মামলাটি দায়ের করেন। আশা কারি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাদী আদালতের মাধ্যমে ন্যয় বিচার পাবেন।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ০৩:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

২০১৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে চাঁদপুর শহরে ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সমর্থকগোষ্ঠীর হামলা এবং গুলি চালায়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম (২০)। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপুমনিসহ ৪৯০ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে চাঁদপুর সদর আমলী আদালতে হত্যার শিকার তাজুল ইসলামের বড় ভাই মো. ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন আরাফাত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
মামলায় এজহার নামীয় ১৪০জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামী ৩০০ থেকে ৩৫০জনকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনির বড় ভাই ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে ১৮ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সমর্থকগোষ্ঠী ব্যাপক হামলা এবং গুলি চালায়। ওই হামলায় তাজুল ইসলাম (রতন) এর বুকের বামপাশে গুলিবিদ্ধ হয় এবং ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে। একই সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩০০জন আহত হয়।
এই ঘটনার পর ১ ও ২ নম্বর আসামীর নির্দেশে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে নিহতের সুরতহাল ও তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় এবং বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে ও আসামীদের হুমকি ধমকিতে ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হন। গেল বছর ৫ আগস্টের পরে স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ায় ফলে সার্বিক পট পরিবর্তন এবং বাক স্বাধীনতা ফেরত পাওয়ায় মামলা করতে বিলম্ব হয়।
রাতে মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বাদী মো. ফারুকল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় পরিবেশ অনুকুলে না থাকা ও বিবাদী পক্ষের নানা হুমকি ধমকির কারণে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। ন্যয় বিচারের জন্য বিলম্ব হলেও মামলা দায়ের করেছি। আশাকরি আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাব।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের জিলানী মিল্টন জানান, ঘটনার পর মামলা দায়ের করার পরিবেশ না থাকায় প্রায় একযুগ পরে বাদী মামলাটি দায়ের করেন। আশা কারি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাদী আদালতের মাধ্যমে ন্যয় বিচার পাবেন।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471