পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ পশু হাটে নির্ধারিত হারের বেশি টোল আদায়ের অভিযোগে হাট ইজারাদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার (১ জুন) দুপুরে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় এ জরিমানা আদায় করা হয়।
জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ পেয়ে দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন ইনজামামুল আমীন প্রীমনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল ভাউলাগঞ্জ হাটে উপস্থিত হন। তাদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত হার উপেক্ষা করে প্রতি গরুর জন্য ক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছিল। ছাগলের ক্ষেত্রেও বিক্রেতার কাছ থেকে ১৫০ টাকা এবং ক্রেতার কাছ থেকে ‘ঈদ বোনাস’ নামে অতিরিক্ত ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। অথচ সরকার নির্ধারিত টোল হার গরুর জন্য ৪৫০ টাকা এবং ছাগলের জন্য ১৩০ টাকা।
এছাড়া রশিদে সঠিক টাকার পরিমাণ লেখা হচ্ছিল না এবং কোথাও টোলের তালিকা টানানো হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন, আর ইজারাদার লাভবান হচ্ছিলেন।
সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন। একাধিক ব্যক্তি রশিদ দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি তুলে ধরেন।
পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানকে বিষয়টি জানানো হয়। ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে ইজারাদার হারুন অর রশিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ যাচাই করে সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
তবে হাটে আসা অনেকেই মন্তব্য করেন, সেনাবাহিনী না এলে হয়তো প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ দেখা যেত না। তারা আরও জানান, নির্ধারিত টোল হার মাইকিং করে জনসাধারণকে জানানো হবে বলে প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু ইউএনও তা করেননি। ফলে ভবিষ্যতের হাটগুলোতেও অতিরিক্ত টোল আদায় হবে কি না, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, নিয়মিত মনিটরিং ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে হাট ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম বন্ধ হবে না।