ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসায় বাইপাইল গরুর হাটে এখন গরুর ভিড়, বিক্রেতাদের মুখে নানা রকম প্রতিশ্রুতি ও হাঁকডাক। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা নানা জাতের গরু দিয়ে হাটটি যেন পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি আশানুরূপ না হওয়ায় বিক্রেতারা পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়।
হাটে দেখা যায় দেশি-বিদেশি নানা জাতের গরু – কেউ এনেছেন শাহীওয়াল, কেউ বা রাজস্থানী ক্রস, আবার কেউ দেশি বড় গরু সাজিয়ে তুলেছেন আকর্ষণীয় করে। তবে হাটে ঘোরাঘুরি করলেও প্রকৃত ক্রেতা খুবই কম। অনেকেই শুধু দাম যাচাই করে চলে যাচ্ছেন, কেনার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
গরু বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, “আমরা ছয়টা গরু এনেছি কুষ্টিয়া থেকে। খাওয়াতে, আনতে, থাকার খরচসহ প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা গরুও বিক্রি হয়নি। লোকজন আসে, দেখে, দাম জিজ্ঞেস করে চলে যায়।”
একই হতাশার সুরে গাইবান্ধা থেকে আসা আরেক বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, “এখন পর্যন্ত দাম একেবারে কম। হাট জমজমাট হলেও ক্রেতা নাই, সবই ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।”
বাইপাইল হাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেষ কয়েকদিনে ভিড় বাড়বে বলেই তারা আশাবাদী। অনেক ক্রেতা শেষ সময়ে এসে দরদাম করে কেনাকাটা করেন। তবে বাজারের চড়া জিনিসপত্রের দাম এবং ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া – এই দুইয়ের সম্মিলনে হাটে এবার ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, গরুর বাজারে মনিটরিং জোরদার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দাম নিয়ন্ত্রণ ও প্রতারণা ঠেকাতে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সব মিলিয়ে বাইপাইল গরুর হাট এখন গরুতে জমজমাট হলেও, ক্রেতার অভাবে বিক্রেতাদের মনে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। সামনে ঈদের বাকি সময়েই নির্ধারিত হবে কার লাভ, কার লোকসান।