ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিএনএ জানিয়ে দিল অজ্ঞাতনামা খুনীর পরিচয়, সিআইডি কর্তৃক হত্যা মামলার অভিযুক্ত গ্রেফতার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে
পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে খুন করে লাশ ডোবায় ফেলে দিয়েছিল খুনীরা। ০২ জনের নাম পরিচয় জানা গেলেও বাকিরা ছিল অজ্ঞাত। সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের তৎপরতায় বের হয়ে এলো অজ্ঞাতনামা খুনীর পরিচয়। এরপর এলআইসি শাখার পরিশীলিত তথ্য বিশ্লেষণে সনাক্ত হলো অবস্থান, সিআইডির জালে ধরা পড়লো অজ্ঞাতনামা খুনী। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. সেলিম মাদবর @ রফিক (৪৯), পিতা-মৃত মো. আলী মাদবর, মাতা-রিজিয়া বেগম, গ্রাম-ঘটখালী (চাওড়া) থানা-আমতলী জেলা- বরগুনা। গত ২৩/০৬/২০২৫ খ্রি. তারিখে সিআইডি এলআইসি শাখার একটি চৌকস টীম ডিএমপি’র ডেমরা ধানাধীন সারুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত অভিযুক্ত সেলিম মাদবর @রফিক (৪৯)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, টোল উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৪/০২/২০২৪ খ্রি. রাত আনুমানিক ০৭:৫০ ঘটিকায় ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভাধীন নান্দিকাঠি গ্রামস্থ লাইফকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে অনুমান ২০০ গজ পূর্বে পাকা রাস্তার উপর ভিকটিম ইমরান হাওলাদারকে (৩২) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী কচুরিপানা ভর্তি ডোবার পানিতে ফেলে দেয় খুনীরা। তাদের হামলায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন ভিকটিম ইমরান এর স্ত্রী ফাহিমা বেগম। পরবর্তীতে নিহত ইমরান এর পিতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার বাদি হয়ে ০২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং নলছিটি থানার মামলা নং- ০৮, তারিখ- ২৫/০২/২০২৪ খ্রি., ধারা- ৩৪১/৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
ঘটনার পরপরই সিআইডি’র ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। জব্দকৃত আলামত পরীক্ষার নিমিত্ত ডিএনএ ল্যাব সিআইডি সদর দপ্তর ঢাকায় প্রেরণ করা হলে ডিএনএ বিশেষজ্ঞগণ ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত আলামত সমূহ পরীক্ষা করে অজ্ঞাতনামা একজনের ডিএনএ’র অস্তিত্ব পায়। ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিং এর মাধ্যমে জানা যায় তার নাম মো. সেলিম মাদবর @রফিক(৪৯) । তাকে গ্রেফতার করতে সিআইডি’র এলআইসি শাখা বিভিন্ন ভাবে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তর অবস্থান সনাক্ত করে এলআইসি শাখার একটি চৌকস টীম ডিএমপি’র ডেমরা ধানাধীন সারুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত অভিযুক্ত সেলিম মাদবর @রফিককে (৪৯) গ্রেফতার করে।
নথিপত্র পর্যালোনায় জানা যায় তার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ০২ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বাড্ডা থানার মামলা নং- ২৪, তারিখ- ১০/১১/২০২০ খ্রি., ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড এ মো. সেলিম মাদবর @রফিক(৪৯) এর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে এজাহারনামীয় ০১ নং অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদার বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পন করলে ডিএনএ বিশেষজ্ঞগণ অভিযুক্তের ডিএনএ প্রোফাইল প্রস্তুত করেন এবং পরীক্ষান্তে ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত আলামতের সাথে অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদারের ডিএনএ ম্যাচিং পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত মো.সেলিম মাদবর @রফিককে (৪৯)কে যথানিয়মে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। সিআইডি’র এলআইসি শাখা বিভিন্ন ভাবে তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণে সর্বোচ্চ পারঙ্গমতা অর্জনে বদ্ধ পরিকর এবং এর মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনের অবস্থান ও অপরাধী সনাক্ত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে রোল মডেল: পরপর ৩ বার বিশেষ সম্মাননায় নতুনধরা এসেটস্!

ডিএনএ জানিয়ে দিল অজ্ঞাতনামা খুনীর পরিচয়, সিআইডি কর্তৃক হত্যা মামলার অভিযুক্ত গ্রেফতার

আপডেট সময় ০১:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে খুন করে লাশ ডোবায় ফেলে দিয়েছিল খুনীরা। ০২ জনের নাম পরিচয় জানা গেলেও বাকিরা ছিল অজ্ঞাত। সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের তৎপরতায় বের হয়ে এলো অজ্ঞাতনামা খুনীর পরিচয়। এরপর এলআইসি শাখার পরিশীলিত তথ্য বিশ্লেষণে সনাক্ত হলো অবস্থান, সিআইডির জালে ধরা পড়লো অজ্ঞাতনামা খুনী। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. সেলিম মাদবর @ রফিক (৪৯), পিতা-মৃত মো. আলী মাদবর, মাতা-রিজিয়া বেগম, গ্রাম-ঘটখালী (চাওড়া) থানা-আমতলী জেলা- বরগুনা। গত ২৩/০৬/২০২৫ খ্রি. তারিখে সিআইডি এলআইসি শাখার একটি চৌকস টীম ডিএমপি’র ডেমরা ধানাধীন সারুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত অভিযুক্ত সেলিম মাদবর @রফিক (৪৯)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, টোল উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৪/০২/২০২৪ খ্রি. রাত আনুমানিক ০৭:৫০ ঘটিকায় ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভাধীন নান্দিকাঠি গ্রামস্থ লাইফকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে অনুমান ২০০ গজ পূর্বে পাকা রাস্তার উপর ভিকটিম ইমরান হাওলাদারকে (৩২) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী কচুরিপানা ভর্তি ডোবার পানিতে ফেলে দেয় খুনীরা। তাদের হামলায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন ভিকটিম ইমরান এর স্ত্রী ফাহিমা বেগম। পরবর্তীতে নিহত ইমরান এর পিতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার বাদি হয়ে ০২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং নলছিটি থানার মামলা নং- ০৮, তারিখ- ২৫/০২/২০২৪ খ্রি., ধারা- ৩৪১/৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
ঘটনার পরপরই সিআইডি’র ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। জব্দকৃত আলামত পরীক্ষার নিমিত্ত ডিএনএ ল্যাব সিআইডি সদর দপ্তর ঢাকায় প্রেরণ করা হলে ডিএনএ বিশেষজ্ঞগণ ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত আলামত সমূহ পরীক্ষা করে অজ্ঞাতনামা একজনের ডিএনএ’র অস্তিত্ব পায়। ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিং এর মাধ্যমে জানা যায় তার নাম মো. সেলিম মাদবর @রফিক(৪৯) । তাকে গ্রেফতার করতে সিআইডি’র এলআইসি শাখা বিভিন্ন ভাবে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তর অবস্থান সনাক্ত করে এলআইসি শাখার একটি চৌকস টীম ডিএমপি’র ডেমরা ধানাধীন সারুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত অভিযুক্ত সেলিম মাদবর @রফিককে (৪৯) গ্রেফতার করে।
নথিপত্র পর্যালোনায় জানা যায় তার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ০২ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বাড্ডা থানার মামলা নং- ২৪, তারিখ- ১০/১১/২০২০ খ্রি., ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড এ মো. সেলিম মাদবর @রফিক(৪৯) এর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে এজাহারনামীয় ০১ নং অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদার বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পন করলে ডিএনএ বিশেষজ্ঞগণ অভিযুক্তের ডিএনএ প্রোফাইল প্রস্তুত করেন এবং পরীক্ষান্তে ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত আলামতের সাথে অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদারের ডিএনএ ম্যাচিং পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত মো.সেলিম মাদবর @রফিককে (৪৯)কে যথানিয়মে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। সিআইডি’র এলআইসি শাখা বিভিন্ন ভাবে তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণে সর্বোচ্চ পারঙ্গমতা অর্জনে বদ্ধ পরিকর এবং এর মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনের অবস্থান ও অপরাধী সনাক্ত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471