কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নে দরিদ্র নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি ও ভিজিএফ চাল বিতরণে ঘুষ লেনদেন ও আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর আওতায় মামলা হয়েছে। গত ২০ জুন এ মামলাটি দায়ের করেন স্থানীয় ভুক্তভোগী আখিনুর আক্তার।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইউনিয়নের ইউপি সচিব মো. আলমগীর হোসেন এবং প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ওসমান হোসেন প্রতিটি ভিজিডি কার্ডধারীর কাছ থেকে জনপ্রতি এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। যারা টাকা দেননি, তাদের চাল দেওয়া হয়নি। হারিছ মিয়া নামের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, “ইউপি সচিব বলেছেন—টাকা দিলে চাল পাবে, না দিলে নয়।” আরশী বেগম নামের আরেকজন বলেন, টাকা দিতে না পারায় আমি চাল পাইনি।
মামলার বাদী আখিনুর আক্তার বলেন, “চাল না দেওয়ার পাশাপাশি তারা চলমান কার্যক্রমে প্রতিবাদকারীদের নানাভাবে হয়রানি করেছে। তারা সরকারের প্রাপ্য চাল আত্মসাৎ করতে চেয়েছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “সচিব আলমগীর হোসেন দুর্নীতির টাকায় কিশোরগঞ্জ শহরে প্রায় দেড় কোটি টাকায় বাড়ি করেছেন।”
এ বিষয়ে জানতে মিঠামইন উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মো: আব্দুল্লা আল মামুন বক্তব্য নিতে অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব জেলে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
এদিকে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও উদ্বেগ এখনো বিদ্যমান। স্থানীয়রা এই দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জে চাল কেলেঙ্কারি: , দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় মিঠামইন
-
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
- আপডেট সময় ০৮:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
- ১১ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত