সেনাসদরের ব্রিফিং
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা নেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই এবং সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো বিভেদ হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।
সোমবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেওয়ার কোনো ইচ্ছা বা এ ধরনের কোনো আলোচনা আমাদের মধ্যে হয়নি। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমরা সর্বদা সেনাবাহিনী একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা দেশের জন্য দেশের নিরাপত্তার জন্য দেশের মানুষের সঙ্গে কাজ করে যাব।’
নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত সরকারের সঙ্গে কাজ করছি, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। যেভাবে বলা হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতপার্থক্য হচ্ছে, বিভেদ হয়েছে, এরকম আসলেই কিছু হয়নি। সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে। এটা নিয়ে মিসইন্টারপ্রেট (ভুল ব্যাখ্যা) করার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো মুখোমুখি অবস্থান দেখছি না। আমাদের মধ্যে যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে এবং আমরা একত্রে দেশের জন্য দেশের স্বার্থে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অফিসারস অ্যাড্রেস সেনাপ্রধান যেকোনো সময় বা সময়ে সময়ে অফিসারদের বা সৈনিকদের সঙ্গে কথা বলে থাকেন, দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এটি তারই একটি ধারাবাহিকতা মাত্র। এখানে আমরা কোনো সাংবাদিককেও ডাকিনি। তিনি জাতির উদ্দেশেও কোনো ভাষণ দেননি বা আইএসপিআরও সরকারিভাবে বিবৃতি দেয়নি। আপনারা যেটা গণমাধ্যমে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখছেন, সেটার সঠিকতা বা বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে যথেষ্ট বিবেচনার দাবি রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, সেনাবাহিনী এমন কোনো বিষয়ে সম্পৃক্ত হবে না।’
মিয়ানমারের আরাকান আর্মি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। আপনারা যেটা গণমাধ্যমে দেখে দেখেছেন, সেটার সঠিকতা বা বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে যথেষ্ট বিবেচনার দাবি রাখে। তাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই।’
বিষয়:
অন্তর্বর্তী সরকার
সেনাবাহিনী
সেনাপ্রধান