ঢাকা, ষ্টাফ রিপোর্টার মো. আরিফুল ইসলাম মুরাদ:
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করায় সচিবালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যদি কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন, ঘুষ গ্রহণ করেন অথবা নিয়মিত অফিসে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তাঁর বেতন কর্তনের পাশাপাশি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ থাকবে। এতদিন পর্যন্ত এ ধরনের অপরাধে কেবল বদলি বা সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো।
এই আইন বাস্তবায়নের সম্ভাবনার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তারা সচিবালয় এলাকায় আন্দোলন শুরু করেছেন। প্রতিবাদস্বরূপ তারা আশপাশের সড়ক অবরোধ করেছে এবং অফিস কার্যক্রম বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, নতুন আইনটি অতিরিক্ত কঠোর এবং তা তাদের চাকরি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে।
সরকারপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আইন পাসের উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি সেবা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। দুর্নীতি দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের আইন কার্যকর হলে দীর্ঘদিন ধরে চলা ঘুষ ও দুর্নীতির সংস্কৃতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। তবে একই সঙ্গে তারা সরকারি চাকরিজীবীদের উদ্বেগ ও উদ্বেগের প্রকৃত কারণগুলিও আমলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ‘স্যার’ সম্বোধন নিষিদ্ধ করা, সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ এবং সরকারি কাজে বিলম্ব রোধের নির্দেশনাও রয়েছে।
এই আইনকে কেন্দ্র করে সরকারের সঙ্গে প্রশাসনের এই টানাপোড়েন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।