দেশজুড়ে একের পর এক তৈরি পোশাক কারখানা (গার্মেন্টস) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম হতাশা ও অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। শ্রমঘন এ খাতটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলেও সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছে শ্রমজীবী জনগোষ্ঠী।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক মাসে সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। কোনোটি আর্থিক সংকট, কোনোটি ক্রয় আদেশের ঘাটতি, আবার কোনোটি শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখিয়ে হঠাৎ করেই কারখানার গেট বন্ধ করে দেয়।
চাকরি হারিয়ে হতাশ শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও এখন হঠাৎ করে রাস্তায় নেমে পড়েছেন তারা। কোনো পুনর্বাসন না থাকায় জীবন-জীবিকার কঠিন সংকটে পড়তে হয়েছে তাদের।
একজন নারী শ্রমিক বলেন, “ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, ঘরভাড়া, খাওয়া—সব কিছুই থেমে গেছে। নতুন কোনো কাজও খুঁজে পাচ্ছি না।”
শ্রমিক নেতারা বলছেন, গার্মেন্টস খাতে অব্যাহত এই ধস শ্রমিকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলছে। তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধারা চলতে থাকলে শুধু শ্রমিক পরিবার নয়, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।