সম্ভাব্য তারিখ আগামী ৫ই জুলাই বাগেরহাট জেলা শরণখোলা উপজেলা বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীগণ। নির্বাচনী লিফলেট বিতরণ ও পদ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন, দক্ষিণ বাংলার বীর সন্তান বাগেরহাট জেলা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম তালুকদার এর সুযোগ্য উত্তরসূরী তার জ্যৈষ্ঠকন্যা মোড়েরগঞ্জ শরণখোলা ৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী তালুকদার এডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা, এবং ২ নং খোন্তা-কাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খাঁন মতিউর রহমান মতি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আঞ্জুমান আরা আলো, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বেল্লাল হোসেন মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী অধ্যাপক সামিম আহমেদ বাদল এবং ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গোলাম হোসেন রাব্বিসহ, বিএনপির সকল অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গত ০২/০৭/২০২৫ ইং তারিখে রায়েন্দায়ে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সংলগ্ন দলীয় অফিসের সামনেএবং ০৩/০৭/২০২৫ইং আমড়াগাছিয়া বাজারে এই প্রচারণা চালানো হয়। পথসভা যাত্রা চলাকালীন সময়ে লক্ষ্য করা যায় হাজারো মানুষের ঢল । এ যেনো সত্যের জয় সুনিশ্চিত।
আলো মিলন বাদল প্যানেলের পক্ষে বক্তৃতা রাখেন ২ নং খোনতা কাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খান মতিউর রহমান মতি। তিনি বলেন আপনার ভোট আপনি দিবেন যাকে খুশি তাকে দিবেন তবে যাচাই-বাছাই করে দেবেন। আপনারা যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেন তবে আপনাদের সারা জীবন পস্তাতে হবে। ৫ তারিখের পরে কিছু বিএনপি নেতারা আওয়ামী পুনর্বাসন করে চলেছেন। তারা বিএনপিকে বানাচ্ছে আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগকে বানাচ্ছে বিএনপি তাই সঠিক প্যানেলটি কে নির্বাচন করতে ভুল করবেন না।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা বিএন পির সম্মানিত সদস্য এবং মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, মাটি ও মানুষের নেত্রী তালুকদার এডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা। তিনি বলেন, রাজনীতি আমাদের রক্তে মাংসে মেশানো, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম তালুকদার বাগেরহাট জেলা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আঞ্জুমান আর আলো আমার চাচাতো বোন। আমার বাবার ভাতিজি, তার রাজনৈতিক পরিচয় আছে। তিনি নেতৃত্ব দিতে আসছেন তার প্রয়োজনে নয়, সুখে দুখে শরণ খোলা বাসির পাশে থাকার জন্য তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন আশা করি। আপনারা জানেন মিলন বাঁদল একদিনে তৈরি হয়নি, ছাত্র দল থেকে মাদার দলে এসেছেন, আজকে তারা সমাজসেবক। যোগ্য নেতা নির্বাচনে আপনারা ভুল করবেন না, যদি ভুল করেন এই ভুলের মাসুল দিতে হবে আপনাদের।
তিনি আরো বলেন জুলাই এর গণঅভ্যুত্থানে আগে ও পরে আমি রাজপথে ছিলাম, আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ। ১৩০০ শহীদের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ। আমার ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, ন্যায়ের পথে ছিলাম,আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ। ৫ তারিখের পরে এসে অনেক বিএনপির নেতা দেখা যাচ্ছে, কোথায় ছিলেন আপনারা এতদিন। দলের সুসময়ে এসে এখন দাদাগিরি করবেন শরণখোলা বাসি তা মেনে নেবে না। সময় থাকতে নিজেদেরকে শুধরিয়ে নিন।
উক্ত পদসভায় আরও বক্তৃতা রাখেন, আঞ্জুমান আরা আলো, বেলাল হোসেন মিলন, অধ্যাপক সামিম আহমেদ বাদল, এবং বিএনপি’র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।