ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফান্ড এবং বাইরের ফান্ড নিয়েও কাজ করা হবে বলে জানান ভিসি।

কীর্তনখোলা ও খয়রাবাদ নদীর মোহনায় মনোরম পরিবেশে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। প্রতিষ্ঠার এক যুগের বেশি সময় পার করলেও গবেষণা কার্যক্রমে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই বিশ্ববিদ্যালয়টির।
পর্যাপ্ত গবেষণা পরিবেশ, অবকাঠামো, গবেষণা সামগ্রীর অভাব এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় পিছিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা খাত। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো রকম বাজেট বরাদ্দ না থাকায় তাদের গবেষণা কার্যক্রম সার্বিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের গবেষণার জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকলেও শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য কোনো রকম বাজেট নেই। এজন্য মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না। হাতে গোনা যে কয়জন শিক্ষার্থী থিসিস নেন মাস্টার্সে তাও অর্থাভাবে আশা হারিয়ে ফেলেন অনেকে। মানসম্মত থিসিস করতে পারেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দফতরের তথ্য মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেগুলার শিক্ষকদের গবেষণার জন্য এক কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ ছিল। এছাড়া পিএইচডি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ৩০ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ থাকলেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পিএইচডির সুযোগ না থাকায় এই অর্থ অব্যবহৃতই থেকে যায়। তবে রেগুলার শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য কোনোরকম বাজেট বরাদ্দ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা বিভিন্ন প্রজেক্ট বা থিসিসের কাজ করার সময় প্রায়শই আর্থিক সঙ্কটে পড়েন। নিজেদের অর্থায়নে গবেষণা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে নিজের অর্থায়নে গবেষণা শুরু করলেও অর্থায়নের অভাবে তাদের কাজ অসমাপ্তই থেকে যায়। প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ, ডেটা বিশ্লেষণ, সার্ভে পরিচালনা বা জার্নালে প্রকাশনার ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব পকেট থেকে খরচ করতে হয়, যা তাদের পক্ষে বহন করা কঠিন।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত কার্বন ফেস্টে প্রথম হওয়া মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো: মনিরুল ইসলাম গবেষণার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হওয়া আর্থিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা করার ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা আমাদের জন্য একটি বড় বাধা। অনেক সময় গবেষণার কাজে গিয়ে আমরা আর্থিক সঙ্কটে পড়ি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে আমাদের সহায়তা করে, তবে আমাদের জন্য গবেষণার কাজটি অনেক সহজ হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিণত করতে হলে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কালচার তৈরি করার জন্য তার প্রধান স্টেকহোল্ডার শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অনুপ্রাণিত করতে হয়, তাদের আর্থিক প্রেষণা দিতে হবে। শুধুমাত্র শিক্ষকদের গবেষণায় নাম মাত্র বরাদ্দ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনোই পুরোপুরি গবেষণা কালচার তৈরি করা সম্ভব নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রহিমা নাসরিন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরা গবেষণার জন্য কোনো বাজেট পান না। শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিলে এবং তাদের সুযোগ দিলে শিক্ষার্থীরা গবেষণায় অনেক এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।’
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে ভর্তি শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো বাজেট নেই। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য একটি বাজেট থাকে। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলা সত্ত্বেও বাজেট বরাদ্দ হয়নি। আমরা যারা শিক্ষার্থীদের সাথে গবেষণা করি, অনেক সময় দেখা যায় এই অর্থগুলো আমাদের জোগাড় করতে হয়। যেটা খুবই ডিফিকাল্ট। আমরা আশাকরছি বর্তমান উপাচার্য এবিষয়ে সুনজর দিবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. ধীমান কুমার রয় বলেন, ‘আমাদের এখানে গবেষণার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো বাজেট নেই। এতে গবেষণা খাত ব্যাহত হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যারা থিসিস করেন এনএসটি ফান্ড থেকে কিছুটা সাহায্য পায় তারা, সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাদের যদি সহায়তা করা যায় তাহলে তারা বেশ উপকৃত হবে। এ বিষয়ে তিনি ভিসির সাথে কথা বলবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এবং সম্প্রসারণ প্রধান ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য কোনো বাজেট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আমরা কথা বলব, কীভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা যায়।’
বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম এই বিষয়ে বলেন, ‘গবেষণার মান যেন বাড়ানো যায় সেজন্য গবেষণার সার্বিক বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রমের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড এবং বাইরের ফান্ড থেকে বাজেট কীভাবে নিয়ে আসা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান।
ভিসি আরো বলেন, ‘আমাদের সেন্ট্রাল ল্যাবে যেসব যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ে আছে, সেগুলো ঠিক করার জন্য দ্রুততম সময়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

আজ চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

ফান্ড এবং বাইরের ফান্ড নিয়েও কাজ করা হবে বলে জানান ভিসি।

আপডেট সময় ১২:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

কীর্তনখোলা ও খয়রাবাদ নদীর মোহনায় মনোরম পরিবেশে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। প্রতিষ্ঠার এক যুগের বেশি সময় পার করলেও গবেষণা কার্যক্রমে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই বিশ্ববিদ্যালয়টির।
পর্যাপ্ত গবেষণা পরিবেশ, অবকাঠামো, গবেষণা সামগ্রীর অভাব এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় পিছিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা খাত। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো রকম বাজেট বরাদ্দ না থাকায় তাদের গবেষণা কার্যক্রম সার্বিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের গবেষণার জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকলেও শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য কোনো রকম বাজেট নেই। এজন্য মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না। হাতে গোনা যে কয়জন শিক্ষার্থী থিসিস নেন মাস্টার্সে তাও অর্থাভাবে আশা হারিয়ে ফেলেন অনেকে। মানসম্মত থিসিস করতে পারেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দফতরের তথ্য মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেগুলার শিক্ষকদের গবেষণার জন্য এক কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ ছিল। এছাড়া পিএইচডি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ৩০ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ থাকলেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পিএইচডির সুযোগ না থাকায় এই অর্থ অব্যবহৃতই থেকে যায়। তবে রেগুলার শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য কোনোরকম বাজেট বরাদ্দ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা বিভিন্ন প্রজেক্ট বা থিসিসের কাজ করার সময় প্রায়শই আর্থিক সঙ্কটে পড়েন। নিজেদের অর্থায়নে গবেষণা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে নিজের অর্থায়নে গবেষণা শুরু করলেও অর্থায়নের অভাবে তাদের কাজ অসমাপ্তই থেকে যায়। প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ, ডেটা বিশ্লেষণ, সার্ভে পরিচালনা বা জার্নালে প্রকাশনার ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব পকেট থেকে খরচ করতে হয়, যা তাদের পক্ষে বহন করা কঠিন।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত কার্বন ফেস্টে প্রথম হওয়া মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো: মনিরুল ইসলাম গবেষণার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হওয়া আর্থিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা করার ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা আমাদের জন্য একটি বড় বাধা। অনেক সময় গবেষণার কাজে গিয়ে আমরা আর্থিক সঙ্কটে পড়ি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে আমাদের সহায়তা করে, তবে আমাদের জন্য গবেষণার কাজটি অনেক সহজ হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিণত করতে হলে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কালচার তৈরি করার জন্য তার প্রধান স্টেকহোল্ডার শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অনুপ্রাণিত করতে হয়, তাদের আর্থিক প্রেষণা দিতে হবে। শুধুমাত্র শিক্ষকদের গবেষণায় নাম মাত্র বরাদ্দ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনোই পুরোপুরি গবেষণা কালচার তৈরি করা সম্ভব নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রহিমা নাসরিন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরা গবেষণার জন্য কোনো বাজেট পান না। শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিলে এবং তাদের সুযোগ দিলে শিক্ষার্থীরা গবেষণায় অনেক এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।’
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে ভর্তি শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো বাজেট নেই। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য একটি বাজেট থাকে। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলা সত্ত্বেও বাজেট বরাদ্দ হয়নি। আমরা যারা শিক্ষার্থীদের সাথে গবেষণা করি, অনেক সময় দেখা যায় এই অর্থগুলো আমাদের জোগাড় করতে হয়। যেটা খুবই ডিফিকাল্ট। আমরা আশাকরছি বর্তমান উপাচার্য এবিষয়ে সুনজর দিবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. ধীমান কুমার রয় বলেন, ‘আমাদের এখানে গবেষণার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো বাজেট নেই। এতে গবেষণা খাত ব্যাহত হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যারা থিসিস করেন এনএসটি ফান্ড থেকে কিছুটা সাহায্য পায় তারা, সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাদের যদি সহায়তা করা যায় তাহলে তারা বেশ উপকৃত হবে। এ বিষয়ে তিনি ভিসির সাথে কথা বলবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এবং সম্প্রসারণ প্রধান ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য কোনো বাজেট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আমরা কথা বলব, কীভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা যায়।’
বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম এই বিষয়ে বলেন, ‘গবেষণার মান যেন বাড়ানো যায় সেজন্য গবেষণার সার্বিক বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রমের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড এবং বাইরের ফান্ড থেকে বাজেট কীভাবে নিয়ে আসা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান।
ভিসি আরো বলেন, ‘আমাদের সেন্ট্রাল ল্যাবে যেসব যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ে আছে, সেগুলো ঠিক করার জন্য দ্রুততম সময়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471