ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইগাতীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

আর মাত্র কয়েকদিন বাকি পবিত্র ঈদুল আযহা”র। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ১লা জুন রবিবার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সপ্তাহে একদিন রবিবার গরু ছাগল বেচা কেনা হয়ে থাকে। তবে আসন্ন পবিত্র ঈদূল আযহা উপলক্ষে প্রতিদিন পশু কেনাবেচা হবে বলে জানাগেছে। এবার স্থানীয় খামারিদের দেশি গরুতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।
এবার ভারতীয় গরুর প্রভাব না থাকায় দেশি খামারিরা স্বস্তিতে পশু বিক্রি করছেন দামও পাচ্ছেন ভালো। ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় হাটের ইজারাদারের পাশাপাশি প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে তৎপর। গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম তুলনামূলক কম, তবে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন বলে জানান বিক্রেতারা। উপজেলায় পশু কেনাবেচার জন্য বেশ কয়েকটি হাট রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ঝিনাইগাতী সদর হাট। সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট, মাঝারি ধরনের গরুর চাহিদা অনেক বেশি। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ব্যবসায়ী ও খামারিরা এ হাটে গরু মহিষ নিয়ে আসছেন কেনা-বেচা চলছে সকাল থেকেই। ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে মাঝারি সাইজের গরু। যার কারণে মাঝারি সাইজের গরুর দিকে ঝুঁকছে ক্রেতারা। এসব গরু মূলত ১ লাখ থেকে ১লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। মাঝারির চেয়ে বড় ধরনের গরু ২ লাখ ২০ হাজারের মধ্যে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। আর ছোট সাইজের গরু ৬৫/৮০ হাজারের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে এবার নাম ডাকের মত বড় গরু হাটে অনেক কম।
এবার মহিষের দামও কিছুটা কম, মাঝারি সাইজের মহিষ কেনাবেচা হতে দেখা গেছে আড়াই থেকে ৩ লাখের মধ্যে। ১০ থেকে ১২ হাজারের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ছাগল ও খাশি।
হাটের নির্ধারিত জায়গা ছাড়াও যেদিকে চোখ যায় শুধু পশু দেখা গেছে। রাস্তাতেও পশু বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতা বিক্রেতার দিকে নজর রেখে এবার হাট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদারের লোকজন। তবে বৈরী আবহাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ক্রেতা বিক্রেতাদের চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগ পোহাতে হচ্ছে।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

নতুন রাজনীতি দলের আত্মপ্রকাশ করেন বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা দল দলের চেয়ারম্যান

ঝিনাইগাতীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

আপডেট সময় ১০:২৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

আর মাত্র কয়েকদিন বাকি পবিত্র ঈদুল আযহা”র। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ১লা জুন রবিবার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সপ্তাহে একদিন রবিবার গরু ছাগল বেচা কেনা হয়ে থাকে। তবে আসন্ন পবিত্র ঈদূল আযহা উপলক্ষে প্রতিদিন পশু কেনাবেচা হবে বলে জানাগেছে। এবার স্থানীয় খামারিদের দেশি গরুতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।
এবার ভারতীয় গরুর প্রভাব না থাকায় দেশি খামারিরা স্বস্তিতে পশু বিক্রি করছেন দামও পাচ্ছেন ভালো। ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় হাটের ইজারাদারের পাশাপাশি প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে তৎপর। গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম তুলনামূলক কম, তবে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন বলে জানান বিক্রেতারা। উপজেলায় পশু কেনাবেচার জন্য বেশ কয়েকটি হাট রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ঝিনাইগাতী সদর হাট। সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট, মাঝারি ধরনের গরুর চাহিদা অনেক বেশি। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ব্যবসায়ী ও খামারিরা এ হাটে গরু মহিষ নিয়ে আসছেন কেনা-বেচা চলছে সকাল থেকেই। ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে মাঝারি সাইজের গরু। যার কারণে মাঝারি সাইজের গরুর দিকে ঝুঁকছে ক্রেতারা। এসব গরু মূলত ১ লাখ থেকে ১লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। মাঝারির চেয়ে বড় ধরনের গরু ২ লাখ ২০ হাজারের মধ্যে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। আর ছোট সাইজের গরু ৬৫/৮০ হাজারের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে এবার নাম ডাকের মত বড় গরু হাটে অনেক কম।
এবার মহিষের দামও কিছুটা কম, মাঝারি সাইজের মহিষ কেনাবেচা হতে দেখা গেছে আড়াই থেকে ৩ লাখের মধ্যে। ১০ থেকে ১২ হাজারের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ছাগল ও খাশি।
হাটের নির্ধারিত জায়গা ছাড়াও যেদিকে চোখ যায় শুধু পশু দেখা গেছে। রাস্তাতেও পশু বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতা বিক্রেতার দিকে নজর রেখে এবার হাট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদারের লোকজন। তবে বৈরী আবহাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ক্রেতা বিক্রেতাদের চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগ পোহাতে হচ্ছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471