ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে ঈদের আগে আর টুংটাং নেই কামারপল্লীতে, অলস সময় পার করছেন কর্মকাররা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

 

আল আমিন
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কামারপল্লীগুলোতে এবার কুরবানির ঈদকে ঘিরে নেই পূর্বের মতো ব্যস্ততা বা কর্মচাঞ্চল্য। রাস্তার পাশে মাথার উপর পলেথিনের ছাউনি টাঙিয়ে কামারেরা যেখানে একসময় টুংটাং শব্দে দিনরাত কাজ করে যেতেন, এবার সেখানে বিরাজ করছে নীরবতা। ঈদের আগমনী সুর যতই ঘনিয়ে আসুক না কেন, কামারদের হাতে যেন সময়টাই এখন অলসতায় ভরা।

স্থানীয় কামার বিপুল চন্দ্র কর্মকার বলেন, “একটা সময় ঈদের আগে এত ব্যস্ত থাকতাম যে রাতে ঘুমানোরও সময় পেতাম না। এখন সেই দিন আর নেই। কয়লা আর লোহার দাম বেড়ে গেছে অনেক। তার ওপর চাহিদাও আগের মতো নেই। বাপ-দাদার পেশা বলেই ধরে আছি, কিন্তু এখন লোকসান গুনেই কাজ চালাতে হচ্ছে। মানুষ আর দেশি দা-বটি বানাতে আগ্রহী নয়। সস্তা চাইনিজ পণ্য আর কারখানার তৈরি সরঞ্জামই এখন বাজার দখল করে ফেলেছে।”

স্থানীয় কামারপল্লীগুলো ঘুরে দেখা গেছে, হাতে গোনা কয়েকজন কামার নিজেদের দোকানে ধীরগতিতে দা, বঁটি ও ছুরি বানিয়ে যাচ্ছেন। নেই সেই আগের মতো কাস্টমারের ভিড়, নেই তাড়াহুড়ো, আর দেখা মিলছে না সেই চেনা ঈদের প্রস্তুতির আমেজ।

কামাররা বলছেন, এই পেশাকে ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা এবং দেশি হস্তশিল্পকে টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ। নইলে এক সময় হয়তো কামারপল্লীর টুংটাং শব্দ কেবল স্মৃতিতেই থেকে যাবে।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

আজ চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

জয়পুরহাটে ঈদের আগে আর টুংটাং নেই কামারপল্লীতে, অলস সময় পার করছেন কর্মকাররা

আপডেট সময় ০২:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

আল আমিন
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কামারপল্লীগুলোতে এবার কুরবানির ঈদকে ঘিরে নেই পূর্বের মতো ব্যস্ততা বা কর্মচাঞ্চল্য। রাস্তার পাশে মাথার উপর পলেথিনের ছাউনি টাঙিয়ে কামারেরা যেখানে একসময় টুংটাং শব্দে দিনরাত কাজ করে যেতেন, এবার সেখানে বিরাজ করছে নীরবতা। ঈদের আগমনী সুর যতই ঘনিয়ে আসুক না কেন, কামারদের হাতে যেন সময়টাই এখন অলসতায় ভরা।

স্থানীয় কামার বিপুল চন্দ্র কর্মকার বলেন, “একটা সময় ঈদের আগে এত ব্যস্ত থাকতাম যে রাতে ঘুমানোরও সময় পেতাম না। এখন সেই দিন আর নেই। কয়লা আর লোহার দাম বেড়ে গেছে অনেক। তার ওপর চাহিদাও আগের মতো নেই। বাপ-দাদার পেশা বলেই ধরে আছি, কিন্তু এখন লোকসান গুনেই কাজ চালাতে হচ্ছে। মানুষ আর দেশি দা-বটি বানাতে আগ্রহী নয়। সস্তা চাইনিজ পণ্য আর কারখানার তৈরি সরঞ্জামই এখন বাজার দখল করে ফেলেছে।”

স্থানীয় কামারপল্লীগুলো ঘুরে দেখা গেছে, হাতে গোনা কয়েকজন কামার নিজেদের দোকানে ধীরগতিতে দা, বঁটি ও ছুরি বানিয়ে যাচ্ছেন। নেই সেই আগের মতো কাস্টমারের ভিড়, নেই তাড়াহুড়ো, আর দেখা মিলছে না সেই চেনা ঈদের প্রস্তুতির আমেজ।

কামাররা বলছেন, এই পেশাকে ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা এবং দেশি হস্তশিল্পকে টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ। নইলে এক সময় হয়তো কামারপল্লীর টুংটাং শব্দ কেবল স্মৃতিতেই থেকে যাবে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471