ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইগাতীতে কামার শিল্পীরা এখন কর্মব্যস্ত টুং টাং শব্দে মুখরিত বাজনা

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কামারের দোকান গুলোতে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছে কামারের দোকান গুলোতে। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতের জন্য এখন চলছে চাপাতি,দা, বটি, ছুরিসহ নানা হাতিয়ার তৈরির কাজ। কয়লার আগুনে বাতাস দিয়ে লোহার খণ্ডকে দগদগে লাল করা হয়। আর সেই আগুনে লাল হওয়া লোহার খণ্ডকে হাতুড়ি দিয়ে একের পর এক আঘাত করেন কামারেরা। অসহনীয় উত্তাপে তাদের শরীরে থেকে দরদর করে বইছে ঘাম। লক্ষ্য একটাই সামনে কোরবানির ঈদ। আর এই ঈদের জন্য পশু জবাই করা, চামড়া ছাড়ানো, মাংস ও হাড় কাঁটার জন্য নানা ধরনের লৌহজাত সামগ্রী তারা তৈরি করেন। কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, তাদের কর্মব্যস্ততা ততই বাড়ছে।
দেখা যায়, ঝিনাইগাতী বাজারে কামারের দোকান গুলোতে সারা বছরই কামারদের তৈরি লোহার সামগ্রীর চাহিদা থাকে। কিন্তু মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কামার শিল্পীরা এখন কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন। সারা বছর খুব একটা হাতে কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে ঘিরে বেড়ে যায় তাদের কর্মব্যস্ততা। কয়লার আগুনে পোড়া চাপাতি, বটি বা ছুরির ওপর পড়ছে হাতুড়ির আঘাত। আঘাতের পর আঘাতে রূপ দেওয়া হচ্ছে চাপাতি, ছুরি, বটিসহ নানা ধরনের ধারালো যন্ত্রসামগ্রী। কামার পল্লীর দোকান গুলোতে কেউ দিচ্ছেন লৌহ জাত সামগ্রীতে শান। কেউ সাহায্য করছেন অন্য সহকর্মীকে। আরাম-আয়েশ, ডুব-গোসল,পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সময়মত খাদ্য গ্রহণ এবং সহকর্মীদের সঙ্গে গল্পগুজব এখন প্রায় সবই বন্ধ। কেবল সহকর্মীর সঙ্গেই চলছে একটু আধটু কথা, তাও সংশ্লিষ্ট কাজের, আর কিছু কথা হচ্ছে ক্রেতাদের সাথে। কেউ দোকান বসিয়ে তাদের নাম দেওয়া লৌহজাত সামগ্রীগুলো আকার ভেদে বিভিন্ন দামে ছুরি, দা, ছোরা, বটি বিক্রি করছেন। আর কোরবানি দাতারা পশু জবাইয়ের জন্য আকারের ভেদে ওইসব লৌহজাতসামগ্রী কিনতে ভিড় করছেন। এদিকে ক্রেতারা বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার ছুরি-চাপাতি এবং দা-বটির দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। আর বিক্রেতাদের দাবি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, লোহা ও কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব হাতিয়ার তৈরি করতে খরচ বেশি হচ্ছে বলে জানান কামাররা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুর দাম বেড়েছে, মানও বেড়েছে। আকার ভেদে পশু জবাইয়ের জিনিসপত্র একেকটা একেক দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

আজ চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

ঝিনাইগাতীতে কামার শিল্পীরা এখন কর্মব্যস্ত টুং টাং শব্দে মুখরিত বাজনা

আপডেট সময় ০৬:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কামারের দোকান গুলোতে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছে কামারের দোকান গুলোতে। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতের জন্য এখন চলছে চাপাতি,দা, বটি, ছুরিসহ নানা হাতিয়ার তৈরির কাজ। কয়লার আগুনে বাতাস দিয়ে লোহার খণ্ডকে দগদগে লাল করা হয়। আর সেই আগুনে লাল হওয়া লোহার খণ্ডকে হাতুড়ি দিয়ে একের পর এক আঘাত করেন কামারেরা। অসহনীয় উত্তাপে তাদের শরীরে থেকে দরদর করে বইছে ঘাম। লক্ষ্য একটাই সামনে কোরবানির ঈদ। আর এই ঈদের জন্য পশু জবাই করা, চামড়া ছাড়ানো, মাংস ও হাড় কাঁটার জন্য নানা ধরনের লৌহজাত সামগ্রী তারা তৈরি করেন। কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, তাদের কর্মব্যস্ততা ততই বাড়ছে।
দেখা যায়, ঝিনাইগাতী বাজারে কামারের দোকান গুলোতে সারা বছরই কামারদের তৈরি লোহার সামগ্রীর চাহিদা থাকে। কিন্তু মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কামার শিল্পীরা এখন কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন। সারা বছর খুব একটা হাতে কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে ঘিরে বেড়ে যায় তাদের কর্মব্যস্ততা। কয়লার আগুনে পোড়া চাপাতি, বটি বা ছুরির ওপর পড়ছে হাতুড়ির আঘাত। আঘাতের পর আঘাতে রূপ দেওয়া হচ্ছে চাপাতি, ছুরি, বটিসহ নানা ধরনের ধারালো যন্ত্রসামগ্রী। কামার পল্লীর দোকান গুলোতে কেউ দিচ্ছেন লৌহ জাত সামগ্রীতে শান। কেউ সাহায্য করছেন অন্য সহকর্মীকে। আরাম-আয়েশ, ডুব-গোসল,পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সময়মত খাদ্য গ্রহণ এবং সহকর্মীদের সঙ্গে গল্পগুজব এখন প্রায় সবই বন্ধ। কেবল সহকর্মীর সঙ্গেই চলছে একটু আধটু কথা, তাও সংশ্লিষ্ট কাজের, আর কিছু কথা হচ্ছে ক্রেতাদের সাথে। কেউ দোকান বসিয়ে তাদের নাম দেওয়া লৌহজাত সামগ্রীগুলো আকার ভেদে বিভিন্ন দামে ছুরি, দা, ছোরা, বটি বিক্রি করছেন। আর কোরবানি দাতারা পশু জবাইয়ের জন্য আকারের ভেদে ওইসব লৌহজাতসামগ্রী কিনতে ভিড় করছেন। এদিকে ক্রেতারা বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার ছুরি-চাপাতি এবং দা-বটির দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। আর বিক্রেতাদের দাবি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, লোহা ও কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব হাতিয়ার তৈরি করতে খরচ বেশি হচ্ছে বলে জানান কামাররা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুর দাম বেড়েছে, মানও বেড়েছে। আকার ভেদে পশু জবাইয়ের জিনিসপত্র একেকটা একেক দামে বিক্রি করা হচ্ছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471