ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়ে ইতিহাসে বায়ার্ন মিউনিখ

ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব টুর্নামেন্টে ইতিহাস সৃষ্টি করল ইউরোপিয়ান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটির বিপক্ষে এক অবিশ্বাস্য ১০-০ গোলের জয় তুলে নিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।

এই জয় শুধু বড় একটি স্কোরলাইনের উদাহরণ নয়, বরং রীতিমতো রেকর্ড ভাঙার রেকর্ড! এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল এবং সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের-এই দুটি রেকর্ডই একসঙ্গে ভেঙে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।

দুই রেকর্ড একসঙ্গে

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে আগে কোনো দল এক ম্যাচে ৬টির বেশি গোল করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৫ গোলের ব্যবধানে জয় এসেছিল ২০২১ সালে, যখন সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল আল জাজিরাকে ৬-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল।

কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখ এবার সেই রেকর্ড যেন ‘ছিন্নভিন্ন’ করেই ছাড়ল। ১০ গোল করে প্রতিপক্ষ অকল্যান্ড সিটিকে একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ম্যাচটিতে তারা একটিও গোল হজম করেনি। গোলের পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ১০, যা ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

ম্যাচের চিত্র

খেলার শুরু থেকেই বায়ার্ন তাদের দাপট দেখাতে থাকে। মাত্র ৭ মিনিটেই প্রথম গোল করে তারা। এরপর গোল আসে প্রায় প্রতি দশ মিনিটে একবার করে। প্রথমার্ধেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৫-০। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে তাদের আক্রমণভাগ। ম্যাচ শেষে স্কোরবোর্ডে যখন ১০-০, তখন অকল্যান্ড সিটির খেলোয়াড়েরা যেন হারের ভারে নুয়ে পড়েছেন।

দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন ইয়ামাল মুসিয়ালা, জোড়া গোল করেছেন লেরয় সানে ও হ্যারি কেইন। বাকিগুলো এসেছে আলফোন্সো ডেভিস, টমাস মুলার ও কাই হাভার্টজের পা থেকে।

বিশ্ব ফুটবলে বার্তা

বায়ার্নের এমন জয় বিশ্ব ফুটবলকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। যেখানে ইউরোপের ক্লাবগুলোর আধিপত্য আগে থেকেই স্পষ্ট, সেখানে এমন বড় জয়ের মাধ্যমে বায়ার্ন যেন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব আরও একবার জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, “এটা শুধু একটি জয় নয়, এটা একটি বার্তা-বায়ার্ন বিশ্বসেরা ক্লাব হওয়ার যে দাবি করে, তার যথার্থ প্রমাণ তারা দিয়েছে মাঠে।”

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

মোল্লাহাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোল্লাহাট সদর ইউনিট কমিটি শাখা দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়ে ইতিহাসে বায়ার্ন মিউনিখ

আপডেট সময় ১০:১৫:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব টুর্নামেন্টে ইতিহাস সৃষ্টি করল ইউরোপিয়ান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটির বিপক্ষে এক অবিশ্বাস্য ১০-০ গোলের জয় তুলে নিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।

এই জয় শুধু বড় একটি স্কোরলাইনের উদাহরণ নয়, বরং রীতিমতো রেকর্ড ভাঙার রেকর্ড! এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল এবং সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের-এই দুটি রেকর্ডই একসঙ্গে ভেঙে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।

দুই রেকর্ড একসঙ্গে

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে আগে কোনো দল এক ম্যাচে ৬টির বেশি গোল করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৫ গোলের ব্যবধানে জয় এসেছিল ২০২১ সালে, যখন সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল আল জাজিরাকে ৬-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল।

কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখ এবার সেই রেকর্ড যেন ‘ছিন্নভিন্ন’ করেই ছাড়ল। ১০ গোল করে প্রতিপক্ষ অকল্যান্ড সিটিকে একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ম্যাচটিতে তারা একটিও গোল হজম করেনি। গোলের পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ১০, যা ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

ম্যাচের চিত্র

খেলার শুরু থেকেই বায়ার্ন তাদের দাপট দেখাতে থাকে। মাত্র ৭ মিনিটেই প্রথম গোল করে তারা। এরপর গোল আসে প্রায় প্রতি দশ মিনিটে একবার করে। প্রথমার্ধেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৫-০। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে তাদের আক্রমণভাগ। ম্যাচ শেষে স্কোরবোর্ডে যখন ১০-০, তখন অকল্যান্ড সিটির খেলোয়াড়েরা যেন হারের ভারে নুয়ে পড়েছেন।

দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন ইয়ামাল মুসিয়ালা, জোড়া গোল করেছেন লেরয় সানে ও হ্যারি কেইন। বাকিগুলো এসেছে আলফোন্সো ডেভিস, টমাস মুলার ও কাই হাভার্টজের পা থেকে।

বিশ্ব ফুটবলে বার্তা

বায়ার্নের এমন জয় বিশ্ব ফুটবলকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। যেখানে ইউরোপের ক্লাবগুলোর আধিপত্য আগে থেকেই স্পষ্ট, সেখানে এমন বড় জয়ের মাধ্যমে বায়ার্ন যেন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব আরও একবার জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, “এটা শুধু একটি জয় নয়, এটা একটি বার্তা-বায়ার্ন বিশ্বসেরা ক্লাব হওয়ার যে দাবি করে, তার যথার্থ প্রমাণ তারা দিয়েছে মাঠে।”


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471