বাংলাদেশে আইন ও বিচার বিভাগ রয়েছে। রয়েছে যথেষ্ট আইন, বিচারক ও আইনজ্ঞ। কিন্তু বর্তমানে একটি বিষয় জনগণকে দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে, তা হলো আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া। যাকে মব জাস্টিস বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মব জাস্টিস’ অর্থ উত্তাল জনতা বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিচার। বলা যায়, ‘মব জাস্টিস’ হলো যখন কোনো উত্তেজিত জনতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাউকে শাস্তি দেয়। এই শাস্তি প্রায়শই মারধর, নির্যাতন বা হত্যা পর্যন্ত যেতে পারে। এসব ঘটনা সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমগুলোয় বলা হচ্ছে ‘মব জাস্টিস’। এই ‘মব জাস্টিস’ বিএনপি কোনভাবেই বরদাস্ত করেনা বলে নওহাটা পৌরসভা যুবদলের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে একটি রেওয়াজ সৃস্টি হয়েছে। কোথাও কোন কিছু হলে বা নিজের মত দল বেধে যে কাউকে আটক করে মারপিট করছে। সেইসাথে অমানবিকভাবে নির্যাতন করে আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দিচ্ছে। এভাবে একটি দেশ কখনো চলতে পারেনা। এটা চলতে থাকলে বহির্বিশে^ বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলে ৩৬ জুলাইয়ে খুুনি হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে দেশের ছাত্র-জনতা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসারত আছেন। তিনি নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রæত সুস্থ্যতা কামনা করে বলেন, সে সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন মব জাস্টিস কোনভাবেই কাম্য নয়। এজন্য এই ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার সবাইকে আহŸান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আগামী বছরের ফেব্রæয়ারী মাসে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন বন্ধ করতে একটি অনিবন্ধিত দল ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ জামায়াত নির্বাচন করার জন্য ইতোমধ্যে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন বন্ধ করার কোন কারন নেই। পতিত সরকার ও তার দোসরদের বাদে সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল এবং দেশের সর্বোবৃহত দল। এই দল চারবার দেশের শাসনভার গ্রহন করেছে। এই দল নির্বাচন চাইবে না, বেকুবের দল গুলো নির্বাচন চাইবে বলে প্রশ্ন করেন।
তিনি আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি উদ্দেশ্য করে বলেন, এখানো অনেকেই মনে করছে শেখ হাসিনা দেশে ফেরত আসবেন। সে আশায় তারা এখনো পতিত সরকারের তোষন অব্যাহত রেখেছেন। এটা বাদ দিতে হবে। ৫ আগস্ট যেভাবে আপনাদের দেখা যায়নি, সে অবস্থা যেন আগামীতে আর না হয় সেজন্য তাদেরকে দেশের হয়ে কাজ করার আহŸান জানান। সেইসাথে সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহŸান জানিয়ে সকল প্রকার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও মব জাস্টিস থেকে বিরত থাকার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহŸান জানান তিনি।
নওহাটা পৌর যুবদলেরসাবেক আহŸায়ক সুজন মোল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহŸায়ক সুলতান আহমেদ, নওহাটা পৌর বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাকিবুল ইসলাম পিটার, নওহাটা পৌর বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর সরকার জেড, নওহাটা পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, মিজানুর রহমান,ধরুইল ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন কাজিম, বিএনপি নেতা নজির উদ্দিন, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু, জেলা যুবদলের সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম ডনি, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক সোহেল রানা, নওহাটা পৌর বিএনপি’র সদস্য এমমাদ, বকুল, জয়নাল, কাজী আজিজুল, মোর্তুজা, আফজাল ও মফিজ উদ্দিন, যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক মিজানুর রহমান মিজান, মমিনুর ইসলাম মিলন।
আরো উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, নওহাটা পৌর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহেল রানা, নওহাটা পৌর তরুন দলের আহŸায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহসহ অত্র পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণসগ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ। এদিকে সমাবেশের পুর্বে নওহাটা কলেজ মোড় থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে নওহাটা পৌরবাজার প্রদক্ষিণ করে থানার মোড়ে সমাবেশ করেন। র্যালিতে নানা ধরনের শ্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।