স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলায় যুবদলের কর্মীসভা ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) প্রায় দুই যুগ পর উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই কর্মীসভায় ১৩ ইউনিয়নের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হলেও সভা শেষে বহিষ্কৃত নেতা জাহিদ খানকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন যুবদল নেতা আব্দুল হান্নান উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহবায়ক জাহিদ খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি তোলেন। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত নেতাকর্মীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানালে কিছুক্ষণ জন্য সভাস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে নেতৃবৃন্দ মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিতর্কিত পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নেয় সভা শেষে। জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন ও সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ বহিষ্কৃত নেতা জাহিদ খানকে নিয়ে ফটোসেশন করেন। সেই ছবি জাহিদ নিজে তার ফেসবুক ওয়ালে প্রকাশ করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
অনেকে মন্তব্য করছেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বহিষ্কৃত নেতার সাথে ফটোসেশন করা সংগঠনের শৃঙ্খলাভঙ্গের সামিল। এমনকি এ ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে বহিষ্কৃত নেতাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৬ জুন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জাহিদ খানকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। কয়েক মাস আগে জাফলংয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। এরপর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, সাধারণ কর্মীরা দাবি তুলেছেন— যারা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বহিষ্কৃত নেতার সাথে সম্পর্ক রাখছেন, তাদের বিরুদ্ধেও সংগঠনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।