ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী স্বশস্ত্র গোষ্ঠী গুলোকে সহায়তার অভিযোগে পাবনা ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি তুহিন আবারও আলোচনায়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

 নুরুন্নবী পাবনা প্রতিনিধিঃ

ঈম্বরদীর লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পাবনা ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি এমরান মাহমুদ তুহিন আবারও আলোচনায় । নৌপথের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কাকন বাহিনীসহ আওয়ামী লীগের স্বশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে । অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ।

আলোচিত-সমালোচিত তুহিনকে বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও হয়রানিসহ নানা অভিযোগে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে বদলি করা হয়। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে রহস্যজনকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রুপপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে পদায়ন করা হয়। পদায়নের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের স্বশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তার অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে‌ পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি হন এমরান মাহমুদ তুহিন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে বেশ সখ্যতা গড়ে তোলেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের সুযোগে তিনি বালু মহাল, অবৈধ সিরাপ কারখানাসহ বিভিন্ন মহলে নিয়ন্ত্রণ গড়ে তোলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক শিক্ষার্থীকে তুলে এনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন আন্দোলনের সময় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছিলেন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের বিএনপির ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন।

ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের পর খালাসপ্রাপ্ত জাকারিয়া পিন্টু অভিযোগ করেন, ‘ডিবি পুলিশের ওসি থাকাবস্থায় এমরান মাহমুদ তুহিন বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নির্যাতন করেছেন। তার পর তাকে অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের স্বশস্ত্র গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়ার জন্য তাকে লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে নিয়ে আসা হয়। আওয়ামী সন্ত্রাসী কাকন বাহিনীর সঙ্গে তুহিনের অনেক দিনের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সুত্রে বিএনপির কিছু নেতার যোগসাজসে তুহিনকে লক্ষীকুণ্ডায় নিয়ে আসা হয়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ‘আমি তাদের (কাকন বাহিনী) চিনি? নদী কেন্দ্রীক যেটা হচ্ছে তা আপনারা (সাংবাদিক) নিজেরাই জানেন কেন হচ্ছে? এখন পিন্টু ভাইয়ের গ্রুপিংয়ের মধ্যে পড়েছে এখন আমাকে সেই গ্রুপিংয়ের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।’

 

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

বাঁশখালী সরকারি আলাওল কলেজে ছাত্রদলের হেল্প ডেস্ক

আওয়ামী স্বশস্ত্র গোষ্ঠী গুলোকে সহায়তার অভিযোগে পাবনা ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি তুহিন আবারও আলোচনায়

আপডেট সময় ০৮:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 নুরুন্নবী পাবনা প্রতিনিধিঃ

ঈম্বরদীর লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পাবনা ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি এমরান মাহমুদ তুহিন আবারও আলোচনায় । নৌপথের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কাকন বাহিনীসহ আওয়ামী লীগের স্বশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে । অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ।

আলোচিত-সমালোচিত তুহিনকে বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও হয়রানিসহ নানা অভিযোগে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে বদলি করা হয়। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে রহস্যজনকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রুপপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে পদায়ন করা হয়। পদায়নের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের স্বশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তার অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে‌ পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি হন এমরান মাহমুদ তুহিন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে বেশ সখ্যতা গড়ে তোলেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের সুযোগে তিনি বালু মহাল, অবৈধ সিরাপ কারখানাসহ বিভিন্ন মহলে নিয়ন্ত্রণ গড়ে তোলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক শিক্ষার্থীকে তুলে এনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন আন্দোলনের সময় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছিলেন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের বিএনপির ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন।

ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের পর খালাসপ্রাপ্ত জাকারিয়া পিন্টু অভিযোগ করেন, ‘ডিবি পুলিশের ওসি থাকাবস্থায় এমরান মাহমুদ তুহিন বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নির্যাতন করেছেন। তার পর তাকে অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের স্বশস্ত্র গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়ার জন্য তাকে লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে নিয়ে আসা হয়। আওয়ামী সন্ত্রাসী কাকন বাহিনীর সঙ্গে তুহিনের অনেক দিনের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সুত্রে বিএনপির কিছু নেতার যোগসাজসে তুহিনকে লক্ষীকুণ্ডায় নিয়ে আসা হয়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ‘আমি তাদের (কাকন বাহিনী) চিনি? নদী কেন্দ্রীক যেটা হচ্ছে তা আপনারা (সাংবাদিক) নিজেরাই জানেন কেন হচ্ছে? এখন পিন্টু ভাইয়ের গ্রুপিংয়ের মধ্যে পড়েছে এখন আমাকে সেই গ্রুপিংয়ের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।’

 


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471