ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে, আতংঙ্কে এলাকাবাসী

হটাৎ করে তিস্তা নদী ভয়াল রুপ ধারন করেছে, যার ফলে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের, পানি উন্নয়ন বাধ সংলগ্ন বাবুর বাজার থেকে ফুলমিয়ার বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে নদী তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত দুই মাসে তিস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি, শত শত একর ফসলি জমি সহ গাছপালা ।

ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করছেন। কেউবা নাড়ির টানে ভাঙনের মুখে থাকা শেষ জমিটুকু আঁকড়ে পড়ে আছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বাড়িঘর হারিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বাঁধ ও সড়কসহ অন্যের জায়গায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাবুর বাজার থেকে ফুলমিয়ার বাজার পর্যন্ত নদী ভাঙ্গন এলাকায় ভাঙ্গন রোধে সরকারি ভাবে তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক ইতিমধ্যে অনেক বার এসে পরিদর্শন করে গেছে কিন্তুু তারা কোন পদক্ষেপ নেয় নি। এমন কি একাধিকবার জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। স্থানীয়রা ভাঙন প্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে স্থায়ী প্রতিরোধমূলক প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান ।

অপরদিকে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবু সায়েম শাফিউল ইসলাম জানান, বাবুর বাজার থেকে ফুলমিয়ার বাজার পর্যন্ত এই অংশ টুকুর ইতিমধ্যে ডিপুটি দেওয়া হয়েছে। ডিপুটির অনুমোদন এলে এই অংশটির পুরোটাই স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হবে। নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানানো হয়েছে সুতরাং বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথেই কাজ করা হবে।

 

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

গাইবান্ধা সদরে কাজী শামছুলের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রিরির অভিযোগ-তদন্তের দাবী

সুন্দরগঞ্জে প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে, আতংঙ্কে এলাকাবাসী

আপডেট সময় ০৭:৫১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

হটাৎ করে তিস্তা নদী ভয়াল রুপ ধারন করেছে, যার ফলে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের, পানি উন্নয়ন বাধ সংলগ্ন বাবুর বাজার থেকে ফুলমিয়ার বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে নদী তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত দুই মাসে তিস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি, শত শত একর ফসলি জমি সহ গাছপালা ।

ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করছেন। কেউবা নাড়ির টানে ভাঙনের মুখে থাকা শেষ জমিটুকু আঁকড়ে পড়ে আছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বাড়িঘর হারিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বাঁধ ও সড়কসহ অন্যের জায়গায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাবুর বাজার থেকে ফুলমিয়ার বাজার পর্যন্ত নদী ভাঙ্গন এলাকায় ভাঙ্গন রোধে সরকারি ভাবে তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক ইতিমধ্যে অনেক বার এসে পরিদর্শন করে গেছে কিন্তুু তারা কোন পদক্ষেপ নেয় নি। এমন কি একাধিকবার জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। স্থানীয়রা ভাঙন প্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে স্থায়ী প্রতিরোধমূলক প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান ।

অপরদিকে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবু সায়েম শাফিউল ইসলাম জানান, বাবুর বাজার থেকে ফুলমিয়ার বাজার পর্যন্ত এই অংশ টুকুর ইতিমধ্যে ডিপুটি দেওয়া হয়েছে। ডিপুটির অনুমোদন এলে এই অংশটির পুরোটাই স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হবে। নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানানো হয়েছে সুতরাং বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথেই কাজ করা হবে।

 


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471