ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে ফিরতে পারবে না আওয়ামী লীগ: শফিকুল আলম

স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করার গুঞ্জন থাকলেও দলটি ফিরতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এই বার্তা দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, গণহত্যা সমর্থনকারী আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ভ্রান্তিতে আছেন যে, দেশ নির্বাচনের দিকে ফিরে গেলে তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে পারবেন। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার না করলে এবং খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এটি সম্ভব না। পাশাপাশি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের সদস্য এবং এর সহযোগীদেরও বিচার হবে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন বিদেশি কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, তারা খুব কমই সমঝোতার বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন। তারাও বুঝতে পেরেছেন যে, অপরাধীরা যদি তাদের অপরাধ স্বীকার না করে, তাহলে কীভাবে সমঝোতার আহ্বান জানানো যায়? বরং তারা সংস্কার এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার বিষয়ে বেশি সমর্থন জানিয়েছেন।

বছর বছর আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, রক্ষীবাহিনীর হত্যাকাণ্ড এবং শেখ মুজিবের একদলীয় শাসনের স্মৃতি মুছে ফেলতে চেষ্টা চালিয়ে গেছে বলেও স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন শফিকুল আলম।

এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, বর্তমান প্রজন্ম এবার জেগে উঠেছে এবং তারা স্বৈরশাসনের প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সজাগ রয়েছে। তাদের প্রচেষ্টা প্রতিদিন পুরোনো স্মৃতিকে সতেজ করছে।

রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারিতে এক নারী শিক্ষার্থীসহ মোট ৭ জন আহত হয়। এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তানযীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা।

তিনি বলেন, গতকালকে সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার হামলা করা হয়। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রেতাত্মা ভর করেছে। তারা তাদের বাইরে কোনো ভিন্ন মত নিতে পারছে না। আওয়ামী লীগের জায়গায় তারা তাদের রিপ্লেস করতে চায় কিনা সেটা তাদের পরিষ্কার করতে হবে। মনে রাখতে হবে বৈষম্য বিরোধী প্ল্যাটফর্ম কারো বাপের না। যদি সেটা মনে করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনারাও টিকতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের পিছনে দাঁড়িয়ে জুলাই আন্দোলনের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমাদেরকে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদের ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। আমরা নাকি সেখানে (কেন্দ্রীয় কার্যালয়) হামলা করতে গিয়েছি। গতকাল আমরা হাসপাতালে প্রেসব্রিফিং করার পরে আমাদের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকে আমাদের সাথে অনেকভাবে যোগাযোগ করে। আমাদের বলা হয় আমরা যাতে মামলা না করি। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিটিং এর জন্য বসতে বলা হয়। আমরা বোরহানউদ্দিন কলেজে বসতে চেয়েছি। পরে তারা জানায় রাত ১১টার সময় বোরহানউদ্দিন কলেজে আসবে। পরে তারা রাত বারোটার দিকে আসে। ওই বৈঠকে আসার কথা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের। কিন্তু এসেছিলেন আন্দোলনের সেল সম্পাদক জাহিদ, স্বাস্থ্য কমিটির তরিকুল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী কমিটির মুন্না। পরে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ হই এবং সেই বৈঠক হয়নি। আমরা এখন আইনিভাবে লড়াই করে যাব।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ও বৈষমবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা অর্নব হোসেন বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিচার চাইবো না। আমরা থানায় গিয়ে মামলা করব। পরে যদি থানা মামলা না নেয়তাহলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।

গতকালকের ঘটনায় আহত মাসুদুর রহমান বলেন, গতকাল তারা আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে আমার দাঁড়িতে আঘাত করেছে এবং আমাকে জঙ্গি বলে অভিহিত করেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গতকালকের ঘটনায় আহত আন্তা মীম, হাসিব মল্লিক, আল-আমীন তালুকদার প্রমুখ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
২৯ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনে ফিরতে পারবে না আওয়ামী লীগ: শফিকুল আলম

আপডেট সময় ০৩:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করার গুঞ্জন থাকলেও দলটি ফিরতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এই বার্তা দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, গণহত্যা সমর্থনকারী আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ভ্রান্তিতে আছেন যে, দেশ নির্বাচনের দিকে ফিরে গেলে তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে পারবেন। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার না করলে এবং খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এটি সম্ভব না। পাশাপাশি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের সদস্য এবং এর সহযোগীদেরও বিচার হবে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন বিদেশি কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, তারা খুব কমই সমঝোতার বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন। তারাও বুঝতে পেরেছেন যে, অপরাধীরা যদি তাদের অপরাধ স্বীকার না করে, তাহলে কীভাবে সমঝোতার আহ্বান জানানো যায়? বরং তারা সংস্কার এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার বিষয়ে বেশি সমর্থন জানিয়েছেন।

বছর বছর আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, রক্ষীবাহিনীর হত্যাকাণ্ড এবং শেখ মুজিবের একদলীয় শাসনের স্মৃতি মুছে ফেলতে চেষ্টা চালিয়ে গেছে বলেও স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন শফিকুল আলম।

এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, বর্তমান প্রজন্ম এবার জেগে উঠেছে এবং তারা স্বৈরশাসনের প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সজাগ রয়েছে। তাদের প্রচেষ্টা প্রতিদিন পুরোনো স্মৃতিকে সতেজ করছে।

রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারিতে এক নারী শিক্ষার্থীসহ মোট ৭ জন আহত হয়। এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তানযীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা।

তিনি বলেন, গতকালকে সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার হামলা করা হয়। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রেতাত্মা ভর করেছে। তারা তাদের বাইরে কোনো ভিন্ন মত নিতে পারছে না। আওয়ামী লীগের জায়গায় তারা তাদের রিপ্লেস করতে চায় কিনা সেটা তাদের পরিষ্কার করতে হবে। মনে রাখতে হবে বৈষম্য বিরোধী প্ল্যাটফর্ম কারো বাপের না। যদি সেটা মনে করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনারাও টিকতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের পিছনে দাঁড়িয়ে জুলাই আন্দোলনের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমাদেরকে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদের ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। আমরা নাকি সেখানে (কেন্দ্রীয় কার্যালয়) হামলা করতে গিয়েছি। গতকাল আমরা হাসপাতালে প্রেসব্রিফিং করার পরে আমাদের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকে আমাদের সাথে অনেকভাবে যোগাযোগ করে। আমাদের বলা হয় আমরা যাতে মামলা না করি। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিটিং এর জন্য বসতে বলা হয়। আমরা বোরহানউদ্দিন কলেজে বসতে চেয়েছি। পরে তারা জানায় রাত ১১টার সময় বোরহানউদ্দিন কলেজে আসবে। পরে তারা রাত বারোটার দিকে আসে। ওই বৈঠকে আসার কথা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের। কিন্তু এসেছিলেন আন্দোলনের সেল সম্পাদক জাহিদ, স্বাস্থ্য কমিটির তরিকুল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী কমিটির মুন্না। পরে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ হই এবং সেই বৈঠক হয়নি। আমরা এখন আইনিভাবে লড়াই করে যাব।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ও বৈষমবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা অর্নব হোসেন বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিচার চাইবো না। আমরা থানায় গিয়ে মামলা করব। পরে যদি থানা মামলা না নেয়তাহলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।

গতকালকের ঘটনায় আহত মাসুদুর রহমান বলেন, গতকাল তারা আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে আমার দাঁড়িতে আঘাত করেছে এবং আমাকে জঙ্গি বলে অভিহিত করেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গতকালকের ঘটনায় আহত আন্তা মীম, হাসিব মল্লিক, আল-আমীন তালুকদার প্রমুখ।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471