মোনতাহেরুল হক আমিন : বাঁশখালী প্রতিনিধি।
চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলা থেকে আনোয়ার মইজ্জ্যারটেক পর্ষন্ত বুধবার (৪ জুন) সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়,যানযটের মূল কারণ হিসেবে কোরবানীর পশু আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন এবং ঈদে ঘরমুখী মানুষের বাড়ি যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত যানবাহনের চাপকেই দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদুল আযহার মাত্র কয়েক দিন বাকি শহর থেকে গ্রামে ঘরমুখী মানুষেরা সংকুচিত আঞ্চলিক প্রধান সড়কে পশুর হাটে পশুর উঠা নামা পিক-আপের কারণে ঠিকমতো গাড়ি না চলতে পারায় গাড়ির চাপ পড়েছে এবং তীব্র যানযটের শিকার হচ্ছেন বাঁশখালীর বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার থেকে অফিসগুলো বন্ধ হলে শহর ছেড়ে যাওয়া গাড়ির পরিমাণ বাড়বে। তখন চাপ আরো বাড়তে পারে।
গরু ব্যবসায়ীরা দৈনিক আজকের বাংলা কে বলেন, “কোরবানীর পশু বোঝাই করা প্রচুর গাড়ি গ্রাম থেকে আসা আনোয়ারা সরকার হাটে এবং চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করছে। এর ফলে সরকার হাট, গুনাগরি রামদাস মুন্সির হাট, শীলকূপ টাইম বাজার, এলাকায় গাড়ি চলাচলের গতি কমে যাচ্ছে। ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও আরামদায়ক করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া প্রশাসনের উচিৎ।”
শহর থেকে ঘরমুখি যাত্রী জয়নাল আবেদীন বলেন, যানযট থাকলে রাতে ও দিনে সড়কে ছিনতাই ও ডাকাতিও হতে পারে। সাধারণ যাত্রী আতঙ্কে রয়েছে। মানুষ যাতে ভালো মতো বাড়ি পৌঁছাতে পারে সেদিকে পুলিশ প্রশাসনের নজর দিতে হবে। ঈদুল ফিতরে মানুষ নিবিঘ্নে বাড়ি ফিরেছিল। তবে এবার সড়কে যানজট হবে। এবার কোরবানির ঈদের ছুটি লম্বা শহর থেকে মানুষ গ্রামে বেশি যাবে।