বিশেষ প্রতিনিধি- শেরপুর :
আজ ২৪ জুলাই, ২০২৫ তারিখ (বৃহস্পতিবার) শেরপুর জেলা সদরে অবস্থিত পৌনে তিন আনী জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করেন মান্যবর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, শেরপুর মহোদয়, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ, শেরপুর জনাব আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), শেরপুর মিজ মোসাঃ হাফিজা জেসমিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, শেরপুর জনাব মোঃ শাকিল আহমেদ সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
শেরপুর জেলার এক প্রাচীন নিদর্শন পৌনে তিন আনি জমিদার বাড়ি। বাড়িটি তৎকালীন জমিদার সতেন্দ্র মোহন চৌধুরী ও জ্ঞাতেন্দ্র মোহন চৌধুরীর জমিদার বাড়ি নামে স্থানীয়দের কাছে অধিক পরিচিত।
জমিদার বাড়িটির বর্তমান অবস্থা স্থানীয় অন্য জমিদার বাড়ির তুলনায় বেশ ভালো। কেননা এখনও অনেকটা অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। কালের পরিক্রমায় বাড়িটির সৌন্দর্য ম্লান হয়েছে, কিন্তু বাড়িটির অসাধারণ কারুকার্যখচিত দৃষ্টিনন্দন স্তম্ভগুলো আজও শোভা পাচ্ছে। এই স্তম্ভগুলো একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কারুকার্যখচিত। চতুস্কোনবিশিষ্ট এই স্তম্ভগুলোতে বর্গাকৃতির ফর্ম-এর ব্যবহারও লক্ষণীয়। বাড়িটির দেয়াল এবং স্তম্ভগুলোতে চুন এবং সুড়কির ব্যবহার রয়েছে।
বাড়িটির প্রবেশ পথে বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। একটি মন্দির এবং শান বাঁধানো ঘাটসহ একটি পুকুর দেখতে পাওয়া যায় এই জমিদার বাড়িতে।
বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল গোপৌনাথ মন্দির নির্মাণের অনেক আগে। গ্রীক স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত এই বাড়িটি আজও সেই জমিদার আমলের সাক্ষ্য বহন করে।
এখানকার জমিদাররা নাচ-গানের প্রতি প্রবল আসক্ত ছিল। যা জমিদার বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত রং মহলের দিকে তাকালে স্পষ্ট বোঝা যায়। রংমহলটিতে অসাধারণ কারুকার্যখচিত বিভিন্ন নকশার নান্দনিকতা ফুটে উঠে।
ঐতিহ্যবাহী এই জমিদার বাড়ির স্থাপত্যশৈলী, ইতিহাস ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে করণীয় নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।