ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকায় ভাঙ্গন,জনজীবনে দুর্ভোগ,যাত্রী ছাউনীর দাবি।

  • এম মনিরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

শ্যামনগর সাতক্ষীরা:
খুলনা বিভাগীয় শহরের অন্যতম জেলা সাতক্ষীরার প্রাণকেন্দ্র, শ্যামনগর উপকূলীয় পল্লীতে প্রবল ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অনুসন্ধানে প্রকাশ,উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনী নীলডুমুর খেয়াঘাট জুড়ে ভয়াবহ ভাঙনের চিত্র উঠে এসেছে।জানা যায়,দুটি ইউনিয়নের মানুষ একটি খেয়াঘাট দিয়ে আসা-যাওয়া ও বিভিন্ন মালামাল বহন করে থাকে।প্রায় ১৬ বছর পূর্বে সাবেক সাংসদ গাজী নজরুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী গাবুরা ও নীলডুমুর দুই পারে দুটি ঢালাইকৃত ঘাট নির্মাণ করেন।

বলা হয়ে থাকে,নদীর একুল ভাঙ্গে ওই কুল গড়ে,এইতো নদীর খেলা।সময়ের পরিক্রমায় ক্ষতবিক্ষত ভাঙ্গন কবলিত খেয়াঘাট তথা বিস্তৃত এলাকা হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে স্থানীয় অনেকেই মন্তব্য প্রকাশ করেন।তারা বলেন বিগত দিনে, অফদা কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গন রোধকল্পে বালুর বস্তা ও ব্লক দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল। খোলপেটুয়া নদীর স্রোতের তোড়ে নীলডুমুরের খেয়াঘাটতি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে এই ঝুঁকি নিয়ে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ নদী পারাপার হচ্ছেন,দৈনন্দিন কাজ কর্ম করে চলেছেন।সামান্য অসাবধানতায় যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।ঘাটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকা একজন,এ প্রতিনিধিকে জানান,দ্রুত ভাঙ্গন রোধকল্পে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল লেবার বলেন,প্রতিদিন প্রচন্ড ঝুঁকিতে আমরা পথচারীদের ভারী জিনিসপত্র ট্রলারে,ধোলাই নৌকায় ওঠা নামার কাজ করে থাকি। খেয়াঘাট সহ ভাঙ্গন কবলিত এলাকাটি অচিরেই সংস্কারের নিমিত্তে উপজেলা ইউ এন ও এবং ডিসি মহোদয়ের মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। নতুবা প্লাবিত হতে পারে কয়েক হাজার বিঘা মৎস্য- চিংড়ি মাছের ঘের কাকড়া প্রকল্প সহ ফসলি জমি।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

নৈতিক ও আদর্শ শিক্ষা ছাড়া দেশ এবং জাতি গঠন করা সম্ভব না— আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন।

শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকায় ভাঙ্গন,জনজীবনে দুর্ভোগ,যাত্রী ছাউনীর দাবি।

আপডেট সময় ০৯:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

শ্যামনগর সাতক্ষীরা:
খুলনা বিভাগীয় শহরের অন্যতম জেলা সাতক্ষীরার প্রাণকেন্দ্র, শ্যামনগর উপকূলীয় পল্লীতে প্রবল ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অনুসন্ধানে প্রকাশ,উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনী নীলডুমুর খেয়াঘাট জুড়ে ভয়াবহ ভাঙনের চিত্র উঠে এসেছে।জানা যায়,দুটি ইউনিয়নের মানুষ একটি খেয়াঘাট দিয়ে আসা-যাওয়া ও বিভিন্ন মালামাল বহন করে থাকে।প্রায় ১৬ বছর পূর্বে সাবেক সাংসদ গাজী নজরুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী গাবুরা ও নীলডুমুর দুই পারে দুটি ঢালাইকৃত ঘাট নির্মাণ করেন।

বলা হয়ে থাকে,নদীর একুল ভাঙ্গে ওই কুল গড়ে,এইতো নদীর খেলা।সময়ের পরিক্রমায় ক্ষতবিক্ষত ভাঙ্গন কবলিত খেয়াঘাট তথা বিস্তৃত এলাকা হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে স্থানীয় অনেকেই মন্তব্য প্রকাশ করেন।তারা বলেন বিগত দিনে, অফদা কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গন রোধকল্পে বালুর বস্তা ও ব্লক দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল। খোলপেটুয়া নদীর স্রোতের তোড়ে নীলডুমুরের খেয়াঘাটতি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে এই ঝুঁকি নিয়ে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ নদী পারাপার হচ্ছেন,দৈনন্দিন কাজ কর্ম করে চলেছেন।সামান্য অসাবধানতায় যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।ঘাটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকা একজন,এ প্রতিনিধিকে জানান,দ্রুত ভাঙ্গন রোধকল্পে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল লেবার বলেন,প্রতিদিন প্রচন্ড ঝুঁকিতে আমরা পথচারীদের ভারী জিনিসপত্র ট্রলারে,ধোলাই নৌকায় ওঠা নামার কাজ করে থাকি। খেয়াঘাট সহ ভাঙ্গন কবলিত এলাকাটি অচিরেই সংস্কারের নিমিত্তে উপজেলা ইউ এন ও এবং ডিসি মহোদয়ের মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। নতুবা প্লাবিত হতে পারে কয়েক হাজার বিঘা মৎস্য- চিংড়ি মাছের ঘের কাকড়া প্রকল্প সহ ফসলি জমি।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471