ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরের মিঠাপুকুরে ব্রীজ নির্মানে রাবিশ পাথর ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ।

  • নুরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:১৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ- রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় দমদমা এনএইচডব্লিউ হতে নগর কোঠা জিসি (চরকাবাড়ী) ভায়া পায়রাবন্দ (মিঠাপুকুর অংশ) সড়কে ২৯+২০০ কিঃমিঃ চেইনেজে ৯৯.০৬ মিঃ পিএসসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ বাবদ ১০.৫৪,৯৬,৬৩২ ৬৭৬ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত আরসিসি গার্ডার ব্রিজে সিডিউল বর্হিভুত পুরাতন জারি ধরা রড,নিম্মমানের মাটি মিশ্রিত সিমেন্ট, পাথর ও দেশীয় বালুসহ ব্লক তৈরি করা হচ্ছে মর্মে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
গত ১৭/৭/২০২৫ ইং সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সীমান্ত বাজার সংলগ্ন ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কাঠগড়া হাট দুই”সীমান্তবর্তী স্থানে এ ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে। ব্রীজ টির নির্মান কাজ ১৪/১১/২০২৩ ইং সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের গাফলতির কারনে তা সম্ভাব হয়নি।
এই ব্রিজ নির্মাণের কাজ দেওয়া হয় MMC ANDMDE (JV) MADRASHA ROAD,D BAZAR DEWANGONJ JAMALPUR কে।
কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সিডিউল ও ষ্টিমেট বর্হিভুত নতুন রডের পরিবর্তে পুরাতন জারি/মরিচা ধরা রড,রাবিশ ও মাটি মিশ্রিত পাথর,কম দামের সিমেন্ট ও স্থানীয় বালু মিশিয়ে ব্লক তৈরি করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, “আমরা লক্ষ্য করেছি, ব্রিজ নির্মাণে পুরাতন রড ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই, সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজটি নির্মাণ করা হোক।”
এ বিষয়ে প্রকল্পের ঠিকাদারের ম্যানেজারের সাথে স্বাক্ষাতে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মোঃ বাদশা আলমগীর বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”অন্যদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত
উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন,,,অনিয়মের বিষয়টি জানার পরে আমি ব্লক ও পিলার তৈরী করা নিষেধ করেছি বলে জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলজিইডির এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে ব্রিজের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারা দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়,রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী, মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

মোল্লাহাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোল্লাহাট সদর ইউনিট কমিটি শাখা দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

রংপুরের মিঠাপুকুরে ব্রীজ নির্মানে রাবিশ পাথর ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ।

আপডেট সময় ০৯:১৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ- রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় দমদমা এনএইচডব্লিউ হতে নগর কোঠা জিসি (চরকাবাড়ী) ভায়া পায়রাবন্দ (মিঠাপুকুর অংশ) সড়কে ২৯+২০০ কিঃমিঃ চেইনেজে ৯৯.০৬ মিঃ পিএসসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ বাবদ ১০.৫৪,৯৬,৬৩২ ৬৭৬ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত আরসিসি গার্ডার ব্রিজে সিডিউল বর্হিভুত পুরাতন জারি ধরা রড,নিম্মমানের মাটি মিশ্রিত সিমেন্ট, পাথর ও দেশীয় বালুসহ ব্লক তৈরি করা হচ্ছে মর্মে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
গত ১৭/৭/২০২৫ ইং সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সীমান্ত বাজার সংলগ্ন ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কাঠগড়া হাট দুই”সীমান্তবর্তী স্থানে এ ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে। ব্রীজ টির নির্মান কাজ ১৪/১১/২০২৩ ইং সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের গাফলতির কারনে তা সম্ভাব হয়নি।
এই ব্রিজ নির্মাণের কাজ দেওয়া হয় MMC ANDMDE (JV) MADRASHA ROAD,D BAZAR DEWANGONJ JAMALPUR কে।
কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সিডিউল ও ষ্টিমেট বর্হিভুত নতুন রডের পরিবর্তে পুরাতন জারি/মরিচা ধরা রড,রাবিশ ও মাটি মিশ্রিত পাথর,কম দামের সিমেন্ট ও স্থানীয় বালু মিশিয়ে ব্লক তৈরি করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, “আমরা লক্ষ্য করেছি, ব্রিজ নির্মাণে পুরাতন রড ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই, সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজটি নির্মাণ করা হোক।”
এ বিষয়ে প্রকল্পের ঠিকাদারের ম্যানেজারের সাথে স্বাক্ষাতে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মোঃ বাদশা আলমগীর বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”অন্যদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত
উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন,,,অনিয়মের বিষয়টি জানার পরে আমি ব্লক ও পিলার তৈরী করা নিষেধ করেছি বলে জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলজিইডির এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে ব্রিজের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারা দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়,রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী, মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।