এম,শাহজাহান, (ঝিনাইগাতী উপজেলা সংবাদদাতাঃ) শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের মালিঝি নদীর উপর স্থায়ী সেতু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও নির্মাণ হয়নি। ফলে নদীর দুই তীরে থাকা অন্তত ৯টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ভরসা কেবল একটি বাঁশের সাকো, যা প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায়।
এতে আজও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জীবন-যাপন করছে ৯গ্রামের স্থানীয়রা। চরম ভোগান্তিতে রয়েছে মালিঝি নদীর দুই পাশের জিগাতলা, চকপাড়া, হাতিবান্দা নিজপাড়া, ঘাগড়া সরকারপাড়া, প্রধানপাড়া, মোল্লাপাড়া, মোনাঘোষা, মধ্য হাতিবান্দা ও পাগলারমুখ গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন বাঁশের সাকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি কার্যক্রমে পড়ছে বড় ধরণের বাধা। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি জরুরি মুহূর্তে রোগী বা গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষাকালে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ওইসব এলাকার স্থানীয়রা জানান, যাতায়াতের রাস্তা ও নদীর উপর সেতু না থাকার কারণে এই এলাকায় কেউ আত্মীয়তা করতে চায়না। তাই এই নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে এঅঞ্চলের শিক্ষার্থী, কৃষক, নারী-পুরুষ সবার জীবন যাত্রায় আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। শুধু তাই নয়, এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সেতুটি হবে মাইলফলক। হাতীবান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমি বারবার দাবি জানিয়েছি, এখানে একটা স্থায়ী সেতু খুবই দরকার। জনগণের ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা হওয়া উচিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন,আমি এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলব। এখানে যাতে স্থায়ী সমাধান হয়। পরিশেষে ঝিনাইগাতীর মালিঝি নদীর উপর একটি সেতুই বদলে দিতে পারে শিক্ষা,স্বাস্থ্য অর্থনীতি ও পুরো এলাকার ভাগ্যচিত্র।
ঝিনাইগাতীর মালিঝি নদীর উপর একটি সেতুই বদলে দিতে ৯ গ্রামের মানুষের ভাগ্যচিত্র
-
নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ০৬:২১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- ৩ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত