সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাট ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) তাকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় পদায়ন করা হয়। এদিকে ফেঞ্চুগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে কোম্পানীগঞ্জে নতুন ইউএনও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ৩৬তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা।
সাদাপাথর লুট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ ওঠে। বরং লুটপাটে তার সহযোগিতা ছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এর আগে রবিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ তোলেন। এর পরদিনই প্রশাসনিক এই রদবদল করা হয়।
এদিকে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকেও একই দিনে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আলোচিত সাবেক র্যাব ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। তিনি সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউএনও আজিজুন্নাহার দায়িত্বে থাকাকালে যুবদলের সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক বাহার আহমদ রুহেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বাহার আহমদ ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির অন্যতম প্রভাবশালী লুটেরাদের একজন হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, তার মাধ্যমেই ইউএনও মাসোহারা আদায় করতেন এবং সেই প্রভাবেই সাদাপাথর লুট ঠেকাতে নিষ্ক্রিয় থাকেন।
প্রশাসনিক এই পরিবর্তনের পর স্থানীয়ভাবে আশা করা হচ্ছে, কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাট বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।