মনোয়ারুল ইসলাম রংপুর জেলা সংবাদদাতা:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ও বড়বিল ইউনিয়ন কল্যাণ পরিষদের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা যায় আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতার পাশে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঙ্গাচড়া উপজেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী শাহীনুর রহমান এবং একসময়ের জামায়াতের প্রভাবশালী নেতা মরহুম সুজামিয়া পীর সাহেবের পুত্র পীরজাদা ফজলে রাব্বীকে।
এমনই কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে নতুন আলোচনা। জানা গেছে, ওই আওয়ামী লীগ নেতা ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের অ্যাডমাল ডিজিটাল তাপসিক সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ইউএনডিপি কর্মকর্তা ও এডিবি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল হোসেন বসুনিয়া।
প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট রেদওয়ানুল হক রাসেল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পীরজাদা ফজলে রাব্বী।
আয়োজকের ব্যাখ্যা
এ বিষয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজক এরশাদুল ইসলাম ইমন জানান, “আমি এডভোকেট রাসেলকে শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে জানতাম। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় আমার জানা ছিল না। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিতর্ক তৈরি করেছে, এজন্য আমি দুঃখিত।”
তিনি আরও বলেন, “এনসিপি নেতা শাহীনুর রহমানকে আমি আলাদাভাবে আমন্ত্রণ করিনি। তিনি প্রধান অতিথির সফরসঙ্গী হিসেবে অনুষ্ঠানে আসেন।”
এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী শাহীনুর রহমান বলেন, “রাসেলের সঙ্গে আমার মামা-ভাগিনা সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে শুধু আমি ছিলাম না, বিএনপি ও জামায়াতেরও একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।”
ওই অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি একসময়ের জামায়াতের প্রভাবশালী নেতা মরহুম সুজামিয়া পীর সাহেবের পুত্র পীরজাদা ফজলে রাব্বীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হয় তিনি কোন দলে আছেন কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, “আমি কোন দল করি, সেটা আপনাকে কেন বলব? আমি তো আপনাকে চিনি না।” এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
তবে জামায়াতের একটি সূত্র জানিয়েছে, পীরজাদা ফজলে রাব্বী সম্প্রতি ঢাকায় গিয়ে দলের সর্বোচ্চ মর্যাদা ‘রোকন’ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। খুব শীঘ্রই শপথও নিবেন।
আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে এনসিপি নেতা থাকার বিষয়ে উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রিফাতুজ্জামান বলেন,
“আমাদের সংগঠন আওয়ামী লীগের বিরোধিতা থেকেই গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো যৌথ কার্যক্রম বা সম্পর্ক আমরা মেনে নিতে পারি না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে এবং সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই ঘটনার দায় নাগরিক পার্টি নেবে
নিজস্ব সংবাদ : 
























