নুরুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ-আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গাইবান্ধা -৩০(সদর-) আসনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুপতলা ইউনিয়নের সম্ভান্ত পরিবারের কৃর্তি সন্তান সাবেক সচিব ও সম্ভাব্য বিএনপি দলীয় এমপি প্রার্থী মোঃ আমিনুল ইসলাম। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ করে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি দলের পক্ষে জনসমর্থন গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এখন পুরো দেশজুড়েই নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে।গাইবান্ধা-৩০(সদর-২) আসনের রাজনীতির মাঠও এর ব্যতিক্রম নয়। গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক শক্তির কারণে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে বিএনপি এগিয়ে রয়েছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে স্বাভাবিক নির্বাচনী পরিবেশ ফিরে এসেছে। ফলে ভোটারদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রার্থী, রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন সবাই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছেন। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসকে সম্ভাব্য নির্বাচনের সময় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এদিকে, নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকলেও প্রার্থী বাছাই ও মাঠ পর্যায়ের প্রচারণা কার্যক্রমে দলগুলো এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।গাইবান্ধা ৩০(সদর-২)ও এর বাইরে নয়।
গত বছরের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে গেলে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা মাঠে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তৃণমূল পর্যায়ে এখন সরব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, অংশ নিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম সাবেক সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব অত্যান্ত সততার সাথে পালন করে আসছি। বর্তমানে আমি বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি এবং আমি আমার ক্লিন ইমেজ ধরে রাখতে চাই।
বিশেষ করে গাইবান্ধার চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, নারী উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারীদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার প্রসারে কাজ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমি মাঠে অনেক আগেই নেমেছি। গাইবান্ধা বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য দিনরাত কাজ করেছি। ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তারা আমাকে পেয়ে খুশি, আমিও তাদের ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত হচ্ছি।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
সমাজসেবা এমূলক কর্মকাণ্ড, শিক্ষার বিস্তার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তার অবদান স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসিত। রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তিনি নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন।
নিজস্ব সংবাদ : 
























