ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের উন্নয়নে শহীদ জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক অবদান

রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে রেখেছেন অসামান্য অবদান। তাঁর শাসনামলে এই প্রত্যন্ত ও নদীভাঙন কবলিত অঞ্চলটি উন্নয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
শহীদ জিয়া প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেন। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি কুড়িগ্রামকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তাঁর গৃহীত প্রশাসনিক কাঠামোর মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে কুড়িগ্রাম সাবডিভিশনকে পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।
কৃষি উন্নয়নে শহীদ জিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি কৃষকদের জন্য উন্নত বীজ, সেচ সুবিধা, রাসায়নিক সার এবং আধুনিক কৃষিযন্ত্র সরবরাহ নিশ্চিত করেন। ১৯৭৮ সালে শস্য গুদাম ঋণ কর্মসূচি চালু করে কৃষকদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করেন। এছাড়া, ১৯৭৭ সালে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ কৃষি ঋণ কর্মসূচি প্রণয়ন করেন, যা প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ছিল একটি মাইলফলক।
শহীদ জিয়ার শাসনামলে কুড়িগ্রামে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তিনি খাল খনন, নদীশাসন এবং সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করেন। এই উদ্যোগগুলো পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
শহীদ জিয়াউর রহমান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি কুড়িগ্রামে নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং বিদ্যমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। স্বাস্থ্যসেবাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে তিনি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
শহীদ জিয়া কুড়িগ্রামের স্থানীয় নেতাদের জাতীয় রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। এতে করে স্থানীয় জনগণের উন্নয়ন চাহিদা সরাসরি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রতিফলিত হয়।
কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান আজও জনগণের স্মৃতিতে অম্লান। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কার্যক্রম এ জেলার উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করে। বর্তমান প্রজন্মের জন্য তাঁর অবদান অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

আজ চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

কুড়িগ্রামের উন্নয়নে শহীদ জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক অবদান

আপডেট সময় ১০:৩৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে রেখেছেন অসামান্য অবদান। তাঁর শাসনামলে এই প্রত্যন্ত ও নদীভাঙন কবলিত অঞ্চলটি উন্নয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
শহীদ জিয়া প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেন। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি কুড়িগ্রামকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তাঁর গৃহীত প্রশাসনিক কাঠামোর মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে কুড়িগ্রাম সাবডিভিশনকে পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।
কৃষি উন্নয়নে শহীদ জিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি কৃষকদের জন্য উন্নত বীজ, সেচ সুবিধা, রাসায়নিক সার এবং আধুনিক কৃষিযন্ত্র সরবরাহ নিশ্চিত করেন। ১৯৭৮ সালে শস্য গুদাম ঋণ কর্মসূচি চালু করে কৃষকদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করেন। এছাড়া, ১৯৭৭ সালে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ কৃষি ঋণ কর্মসূচি প্রণয়ন করেন, যা প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ছিল একটি মাইলফলক।
শহীদ জিয়ার শাসনামলে কুড়িগ্রামে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তিনি খাল খনন, নদীশাসন এবং সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করেন। এই উদ্যোগগুলো পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
শহীদ জিয়াউর রহমান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি কুড়িগ্রামে নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং বিদ্যমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। স্বাস্থ্যসেবাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে তিনি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
শহীদ জিয়া কুড়িগ্রামের স্থানীয় নেতাদের জাতীয় রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। এতে করে স্থানীয় জনগণের উন্নয়ন চাহিদা সরাসরি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রতিফলিত হয়।
কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান আজও জনগণের স্মৃতিতে অম্লান। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কার্যক্রম এ জেলার উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করে। বর্তমান প্রজন্মের জন্য তাঁর অবদান অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471