শেরপুরে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালকদের ৪ দফা যৌক্তিক দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১১টায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ থানা মোড় এলাকায় এই মানববন্ধনের আয়োজন করে শেরপুর জেলা ব্যাটারি চালিত রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রিক্সা চালকরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। অতিরিক্ত লাইসেন্স ফি, জরিমানা, চিকিৎসা ও মৃত্যুকালীন সহায়তা না থাকা, এবং ইউনিয়নের সদস্য পরিচয় স্বীকৃতি না পাওয়ায় শ্রমিকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠেছে। এসব সমস্যা সমাধানে তারা ৪ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন।

শ্রমিকদের উত্থাপিত ৪ দফা দাবি নিম্নরূপ:

১। লাইসেন্স ফি হ্রাস: পৌরসভার রিক্সা লাইসেন্স ফি ৭৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৫০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মিশুক রিক্সার ফি ৫৫০০ টাকা বাতিল করে ৩৫০০ টাকা করার দাবি এবং চিকন চাকার ফি ৩০০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়।

২। জরিমানা পুনর্নির্ধারণ: লাইসেন্সবিহীন চালকদের জন্য ট্রাফিক জরিমানা ১০৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৫০ টাকা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে আরোপিত ১০০০ টাকার নতুন জরিমানাও বাতিলের দাবি ওঠে।

৩। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন: পৌরসভা থেকে আদায়কৃত লাইসেন্স ফি-এর একটি অংশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে সংযুক্ত করে চিকিৎসা ও মৃত্যুকালীন আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়।

৪। সদস্য পরিচয়পত্রের স্বীকৃতি: পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যেন শ্রমিক ইউনিয়নের দেওয়া সদস্য কার্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে লাইসেন্স প্রদান করে, সে দাবি জানান নেতারা।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি মো: আনোয়ারুল সাদ্দাত সুইট তিনি বলেন, “ব্যাটারি চালিত রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন দেশের বৃহৎ শ্রমিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আমরা চাইলে পুরা দেশকে অচল করে দিতে পারি ” তিনি আরো বলেন সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে অসুবিধা হবে তাই আমরা কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণা করছি না, তবে আমাদের ন্যায্য দাবি না মানা হলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে বাধ্য হবো”। সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করেই যাবো, প্রয়োজনে শেরপুরকে অচল করে দিবো”। সংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মানিক মিয়া বলেন, “আমরা শুধু আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে শ্রমিকদের জীবন অনেক সহজ হবে।”

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মহোদয়ের কাছে একটি লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এ সময় শ্রমিকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষজনও একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন।