সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেছেন, “গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে একসাথে কাজ করতে হবে। গ্রাম আদালতের সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ালে সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন পর্যায়েই ন্যায়বিচার পেতে পারে।”
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত “গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন” বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় বিচার সেবা পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম কার্যকর মাধ্যম। এই ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত ভূমিকা অপরিহার্য।”
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার। স্বাগত বক্তব্যে তিনি গ্রাম আদালত সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা ও সমন্বিত পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার) ফারহানা ফেরদৌস শিউলি।
এভিসিবি-৩য় পর্যায়ের আওতায় ইপসার সিলেট ও মৌলভীবাজারের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার শওকত হাসান মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন—
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বিশ্বেশ্বর সিংহ
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার
জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হাসান
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ফখরুজ্জামান
প্রবেশন অফিসার মোঃ তমির হোসেন চৌধুরী
সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির
জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অকিল উদ্দিন আহম্মদ
সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সুজন বণিক
বাংলাদেশ বেতারের সহকারী পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসাইন
দেশ টিভির প্রতিনিধি খালেদ আহমদ
ওয়াল্ড ভিশনের প্রতিনিধি জাবির আহাম্মদ
এফআইভিডিবি’র প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মঞ্জু
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে কর্মশালাটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।