ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইগাতীতে সরকারি বনভূমি জবর দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি স্থানীয়দের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

এম,শাহজাহান, (ঝিনাইগাতী উপজেলা সংবাদদাতাঃ) শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী গজনী বিটে সরকারি বনভূমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বনবিভাগের জায়গায় ব্যাপটিস চার্চের সাইনবোর্ড টানানো এবং বনবিভাগের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে স্থানীয় আদিবাসী গারোদের বাধা দেওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানাগেছে, গত ৮ আগস্ট বন সংরক্ষক (কেন্দ্রীয় অঞ্চল) এ.এস.এম. জহির উদ্দিন আকন গজনী বিটের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও সৃজিত বাগান পরিদর্শনকালে ২নংখতিয়ানভুক্ত গজনী মৌজার বিআরএস দাগ নং ৩১৭-এর প্রায় ৩৫–৪০ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে রয়েছে বলে দেখতে পান। ওই জমিতে তখন ‘ব্যাপটিস চার্চের ফল বাগান’ শিরোনামে একটি সাইনবোর্ডও স্থাপন করা ছিল। পরিদর্শন শেষে তিনি ওই জমিতে পুনরায় বৃক্ষরোপণের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ১১ আগস্ট দুপুরে রাংটিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তারা সেখানে চারা রোপণ শুরু করলে স্থানীয় আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের ৮০/৯০ জন নারী-পুরুষ এসে বাধা দেন। তারা রোপণকৃত চারা উপড়ে ফেলে বনকর্মীদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সংঘর্ষ এড়াতে বন কর্মকর্তারা সরে আসেন। গজনী বিট কর্মকর্তা মো.তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উক্ত জমি শতভাগ বনবিভাগের। সেখানে কোনো শতবর্ষী ফলজ গাছের অস্তিত্ব নেই। রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল করিম জানান, ‘বনভূমি উদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে ব্যাপটিস চার্চের সভাপতি পজন্মাথন বনোয়ারী দাবি করেন, ‘তারা বহু বছর ধরে ওই জমিতে ফলজ বাগান ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তাদের মতে, এটি চার্চের বৈধ দখলে রয়েছে এবং বনবিভাগের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এ বিরোধের সূত্রপাত। এঘটনায় স্থানীয়রা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বনভূমির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ করে প্রশাসনের দ্রুত সমাধান কামনা করেছেন।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

উখিয়ায় ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক

ঝিনাইগাতীতে সরকারি বনভূমি জবর দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি স্থানীয়দের

আপডেট সময় ১০:০৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

এম,শাহজাহান, (ঝিনাইগাতী উপজেলা সংবাদদাতাঃ) শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী গজনী বিটে সরকারি বনভূমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বনবিভাগের জায়গায় ব্যাপটিস চার্চের সাইনবোর্ড টানানো এবং বনবিভাগের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে স্থানীয় আদিবাসী গারোদের বাধা দেওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানাগেছে, গত ৮ আগস্ট বন সংরক্ষক (কেন্দ্রীয় অঞ্চল) এ.এস.এম. জহির উদ্দিন আকন গজনী বিটের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও সৃজিত বাগান পরিদর্শনকালে ২নংখতিয়ানভুক্ত গজনী মৌজার বিআরএস দাগ নং ৩১৭-এর প্রায় ৩৫–৪০ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে রয়েছে বলে দেখতে পান। ওই জমিতে তখন ‘ব্যাপটিস চার্চের ফল বাগান’ শিরোনামে একটি সাইনবোর্ডও স্থাপন করা ছিল। পরিদর্শন শেষে তিনি ওই জমিতে পুনরায় বৃক্ষরোপণের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ১১ আগস্ট দুপুরে রাংটিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তারা সেখানে চারা রোপণ শুরু করলে স্থানীয় আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের ৮০/৯০ জন নারী-পুরুষ এসে বাধা দেন। তারা রোপণকৃত চারা উপড়ে ফেলে বনকর্মীদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সংঘর্ষ এড়াতে বন কর্মকর্তারা সরে আসেন। গজনী বিট কর্মকর্তা মো.তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উক্ত জমি শতভাগ বনবিভাগের। সেখানে কোনো শতবর্ষী ফলজ গাছের অস্তিত্ব নেই। রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল করিম জানান, ‘বনভূমি উদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে ব্যাপটিস চার্চের সভাপতি পজন্মাথন বনোয়ারী দাবি করেন, ‘তারা বহু বছর ধরে ওই জমিতে ফলজ বাগান ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তাদের মতে, এটি চার্চের বৈধ দখলে রয়েছে এবং বনবিভাগের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এ বিরোধের সূত্রপাত। এঘটনায় স্থানীয়রা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বনভূমির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ করে প্রশাসনের দ্রুত সমাধান কামনা করেছেন।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471