ধনেধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদেরি বসুন্ধরা, সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি। বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর আম্রকাননে এক গাদ্দারি প্রহসনের যুদ্ধে সার্বভৌম বাংলার পরাজয়ের আগ পর্যন্ত বাস্তবতা ছিলো আরও সার্বভৌম স্বনির্ভর অবিভক্ত বাংলাদেশ, যার স্বাধীনতার চৌহদ্দি ছিল বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা-কলকাতাসহ আরও বিস্তর সীমানাহীন। তৎকালীন নয়নাভিরাম উর্বর এ বাংলার প্রতি বর্গী হানাদারদের নজর পড়ে কিন্তু বাংলা ছিল অজেয় শক্তি। যার মূলে ছিল বাংলার মিলন মমতায় ঐক্যে ভরা দেশপ্রেমিক ভ্রাতৃসুলভ সহজ সরল জনগণ। যার সুনাম উঠে এসেছে ঐতিহাসিক ইবনে বতুতার রোজনামচায়। অবশেষে আধিপত্যবাদী ইংরেজ এলো বনিক বেশে বন্ধুর বেশে অজেয় মানবিক সমৃদ্ধ বাংলায়। কেমন সমৃদ্ধি?!-যখন টাকায় আটমন চাল পাওয়া যেত বাংলায়। সেরা সপ্তাশ্চার্য তাজমহলের জনক সম্রাট শাহজাহানের আমলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শায়েস্তা খাঁ, এই সময়ে বাংলার ব্যাপক সমৃদ্ধি চোখে পড়ে তৎকালীন বিশ্ববাসীর। হতচকিত বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ ব্রিটেনের যুবকেরা ঢাকায় আসার জন্য হাওয়াই জাহাজে চড়ে বসতো উচ্চ বেতনের আশায় সমৃদ্ধ মিলন মুখরিত বাংলায়। মাত্র তিনশত বছর আগের ইতিহাস এগুলো। ১৭৫৭ সাল সেই সুখ সমৃদ্ধি কেড়ে নিল। এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেল, ইতিহাসের বাঁক পরিক্রমায় চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে আবার এলো ১৯৪৭, ২য় বিশ্বযুদ্ধের দেড় বছর পরের কথা। আধিপত্যবাদী হানাদার ব্রিটেন আবারো স্বাধীনতার ঘোষণা দিল। ভারত ভেঙে দু’টি দেশ হলো, ভারতও পাকিস্তান। মূলতঃ জাতিতে জাতিতে দাঙ্গা ফ্যাসাদ দমনে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দু’টি সার্বভৌম দেশের জন্ম। ভারতের এই স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি জীবনদানকারী ছিল মুসলিমরা। শুধু বেশি নয়, প্রায় সিংহভাগ। ভারতের স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারী সবাই ছিল মুসলিম। সিপাহী বিদ্রোহের মহানায়ক হাবিলদার রজব আলী থেকে শুরু করে নারিকেলবাড়িয়ার বাঁশের কেল্লার সিপাহসালার অপ্রতিরোধ্য বিপ্লবী মীর নিসার আলী খান তিতুমীর, হাজী শরীয়তুল্লাহ, রণাঙ্গনের সিংহশার্দুল সিপাহসালার টিপু সুলতানসহ আরও অনেকে। তাঁদের সকলকে জানাই অগণিত লাখো সালাম। অবশেষে ১৯৭১, নানা ঘটনা প্রবাহে এবার পাকিস্তান ভেঙে জন্ম নিলো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, যার পূর্ব নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদী চোরাবালিতে আটকে গেছে এবারের স্বাধীনতা ১৯৭১! ঘাতক গোয়েন্দাচক্র র মুজিবের আশেপাশের বাম চেতনার মানুষগুলোকে হাত করেই চালিয়েছে এই কৌশলি আক্রমন, সাথে সাথে আক্রমন হয়েছে এদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির উপর। অকাতরে অর্থ ঢেলেছে “র” সুশীল নামক ধর্মহীন অমানবিক সংস্থা এই মানুষরূপী দানবদের প্রতি। এবং ভারতীয় সমর্থনে এদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকারী পরিকল্পনা ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ে। গড়ে তোলা হয়েছে উদ্ভট কা কা ছায়ানট নামক রং ঢং ভাঁড়ামির মহরত! বাংলা একাডেমীতে বসানো হয়েছে নিশাচর বোতলখোর ভেঁড়ারপাল ষাঁড় জাফ্রিকবালদের!? /সুবোধ শিক্ষা ও সংস্কৃতি অমানবিক সত্ত্বায় নষ্ট করে দেয়ার মাধ্যমে ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে দেশের মেধাবী মানবিক প্রজন্মের মেরুদণ্ড! ভোগ বিলাসকে তুলে আনা হয়েছে স্বার্থপর লক্ষ্যে! এভাবেই ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র বাঙালি জাতির পেছনে সেই ১৯৬৮ সাল থেকেই লেগে রয়েছে। চরম ধর্মান্ধ ব্রাহ্মণ্যবাদী ঘাতক গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করতে সমর্থ হয়! এরপর বামরামদের বাংলার শাসন ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত করে বাঙালি জাতির সাথে অমানবিক জুলুমের পুতুল খেলা খেলেই চলেছে আজ অবধি! জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে সর্পপুজারী ভারত তার হিংস্র ছোবল শুরু করে বাংলার জনগণের উপর। এরপর হত্যা করে দেশপ্রেমিক ধার্মিক রাষ্ট্রপ্রধান মেজর জিয়াকে। ভারত মনে করে বাংলা তার করদরাজ্য! স্বাধীন প্রতিবেশী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ভারত স্বীকার করে না! সর্বশেষ হাসিনাকে দিয়ে ভারত দীর্ঘ সতেরো বছর বাংলাদেশকে লুটেপুটে খেয়ে সাবাড় করেছে। অবশেষে হাসিনা পালিয়ে ভারতের কোলে আশ্রয় নিয়েছে বাংলার বিপ্লবী ছাত্রজনতার ধাওয়া খেয়ে। আর ভারতে বসে ষড়যন্ত্রের নতুন নতুন জাল বুনছে হাসিনা-র গং যৌথভাবে!। বিপ্লবী ছাত্রজনতার সরকার চলছে। এসেছে নতুন স্বাধীনতা ৩৬শে জুলাই ২০২৪। বাংলা আবারো স্বাধীন। একেবারেই স্বাধীন। মানুষ নতুন করে স্বাধীনতার সুখ নিয়ে মন খুলে কথা বলছে৷ সবাই ঐক্য চায়, ভেদাভেদ চায় না। সকল মানবিক রাজনৈতিক দলের সরকারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। খুনি হাসিনা ব্যতীত। জুলাই ২০২৪ এ ভারতের দালাল ফ্যাসিস্ট হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে শহীদের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি আর আহত লক্ষের বেশি। আগে খুনি হাসিনা গংদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার চায় সর্বস্তরের বিপ্লবী ছাত্রজনতা। অকুতোভয় অপ্রতিরোধ্য বিপ্লবী নাহিদ ইসলাম, বিপ্লবী আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া, বিপ্লবী হান্নান মাসুদ, বিপ্লবী সারজিস আলম, বিপ্লবী হাসনাত আব্দুল্লাহ ও বিপ্লবী সাদিক কাইয়ুমদের নাম ইতিহাসে রবে অম্লান। তোমাদের তরে লাখো সালাম। দেশদ্রোহী ভারতীয় দালাল মুখোশী সুশীললীগদের চেয়ার থেকে সরাতে ইসলামপ্রিয় শক্তিকে কাজে লাগান, বিপ্লব বেঁচে যাবে। মানবতা মুক্তি পাবে। স্বাধীনতা অটুট রবে। বিপ্লব জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। স্বৈরাচার খুনি হাসিনা গং নিপাত যাক। -(মোহতাসিম বিল্লাহ সিয়াম, যুগ্ম নির্বাহী সম্পাদক)
বারবার এ বঙ্গভূমি কেন “raw” র’য়ের নাটাইঘুড়ি!
-
নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ০৪:১৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
- ৬৪ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত