রাজশাহী মহানগরীর টিকা পাড়ায় নাদিমের গ্যারেজে মাদক ব্যবসা, চুরি করা অটোরিকশার ব্যাটারী কেনাবেচাসহ নানা অপকর্ম হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নাদিম বাশার রোড়ের কিছু ছেলেকে তার গ্যারেজে নিয়ে মারধর করেন। পরে সেখানে দেশীয় অস্ত্রসহ যুক্ত হয় সাকিব ও রুবেল। ঘটনা জানতে পেরে ওই স্থানে সেচ্ছাসেবক দলের ছেলেরা গেলে সন্ত্রাসীরা গোলাগুলিসহ এলাকাবাসীকে হুমকি ধামকি দিয়ে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে রামচন্দ্রপুর বাশার রোড়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা বলেন, টিকা পাড়ার নাদিম ওর ওইখানে একটা অটো গ্যারেজ আছে। ওই গ্যারেজে বিভিন্ন প্রকার মাদক ব্যবসা, অবৈধভাবে চুরি হওয়া ব্যাটারি চার্জার রিক্সা কেনাবেচা হয়।
আনুমানিক বিকাল পাঁচটার সময় রামচন্দ্রপুর বাসার রোডের একটা গাড়ি চুরি করে নাদিমের গ্যারেজে রাখা হয়। এ ঘটনায় বাসার রোডের কিছু ছেলেকে নাদিম তার গ্যারেজে ডেকে নিয়ে জিআই পাইপ এবং চাকু এবং দেশীয় বন্ধুক দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে মারধর করতে থাকে। নাদিমের সাথে থাকা সাকিব ও রুবেল তাদের গুলি করে মেরে ফেলার হুমকির প্রদান করেন। একপর্যায়ে বাসার রোডের কিছু সেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মী সেখানে গিয়ে ওদেরকে উদ্ধার করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসীরা বাসার রোডে এসে আবার নানান ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করেন। এ সময় তাদের সাথে নেতৃত্ব দান করে মৃদুল। যুবদলের পরিচয় দিয়ে মৃদুল মাজা থেকে দেশীয় অস্ত্র বের করে সাকিব ও রুবেলকে গুলি করার নির্দেশ দেয়। একপর্যায়ে মৃদুল দুই রাউন্ড ফায়ার করে। দুই রাউন্ড ফায়ারের পর ওদের এই অতর্কিত হামলার জের ধরে এলাকাবাসী সাধারণ জনগণ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করেন। সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালানোর সময় আবারও দুই রাউন্ড ফায়ার করে। এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দিয়েও বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোস্তাক আহমেদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।