বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন — “কেয়ামত পর্যন্ত বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না।”
তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ কৈলাশ টিলা এমএসটিই প্লান্ট পরিদর্শক শেষে বলেন, বর্তমান সরকারের জ্বালানি নীতিমালায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ একেবারেই বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা চালু করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
উপদেষ্টা আরও জানান, গ্যাস একটি অমূল্য জাতীয় সম্পদ, যা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। সরকার এখন গ্যাস সংরক্ষণ ও শিল্প খাতে ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ চালু রাখলে দেশের গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প কারখানা ও সার কারখানায় চরম সংকট দেখা দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “এমনকি যারা মনে করেন ভবিষ্যতে গ্যাস সংযোগ মিলবে, তারা আশাহত হবেন। কারণ সরকারের নীতিগত অবস্থান পরিষ্কার — গৃহস্থালির চুলায় আর কোনোদিন গ্যাস আসবে না।”
সরকার বাসা-বাড়ির গ্যাস চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে। ফাওজুল কবির খান বলেন, “এলপিজি এখন সহজলভ্য ও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। আমরা গ্যাস সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সবাইকে এলপিজির দিকে যেতে উৎসাহিত করছি।”
এই মন্তব্যের পর সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে বাস্তবতা মেনে নেওয়ার আহ্বান হিসেবে দেখলেও, অনেকে এটিকে গৃহস্থালি খরচ ও নিরাপত্তা বিষয়ে নতুন সংকট হিসেবে বিবেচনা করছেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের সামগ্রিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় কেমন প্রভাব ফেলবে — তা নিয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা না গেলেও, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের “কেয়ামত পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ বন্ধ” বক্তব্য জ্বালানি খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হয়ে থাকবে।