ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে ১৩ বছর পর বিএনপি নেতা বাচ্চু হত্যা মামলা দায়ের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

খাইরুল ইসলাম সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর

ডিবি হেফাজতে ২০১২ সালে জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চুর মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক হুইপ, সাবেক পুলিশ সুপার, সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার, সাবেক ডিবি ওসিসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আদালতে মামলাটি করেন নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মহন। মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সুলতান মাহমুদ মিলন মামলাটি আমলে নিয়ে জামালপুরের পিবিআই পুলিশ সুপারকে তদন্তের আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন— মো. আনিছুর রহমান, সাবেক পুলিশ সুপার-শেরপুর, মো. মহিবুল ইসলাম খান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-শেরপুর, মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক অফিসার ইনচার্জ-গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) শেরপুর, মো. জহুরুল ইসলাম, সাবেক সেকেন্ড অফিসার-গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি), মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক এসআই-পুলিশ ফাঁড়ি, শেরপুর, মো. রিয়াদ হোসেন, সাবেক এসআই- গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি), মো. আতিউর রহমান আতিক, সাবেক এমপি ও হুইপ শেরপুর, ফাতেমাতুজহুরা (শ্যামলী), সাবেক এমপি ও সভাপতি-শেরপুর মহিলা আওয়ামী লীগ।

এ ছাড়া মো. আরিফ রেজা, মো. শুভ রেজা, মো. আনোয়ারুল হাসান উৎপল, শ্রী চন্দ্রন সাহা, তরিকুল ইসলাম রাজু, সদস্য-শেরপুর জেলা যুবলীগ। আমিরুল ইসলাম, শরিফুর রহমান শরিফ, মোহাম্মদ আলী, মো. শহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আ. আলিম, মো. জাহাঙ্গীর আলম, আষীষ কুমার সুর, মাসুদ রানা, বেলাল হোসেন, মো. সাইদুল ইসলাম (সাইদ), মাহবুবা রহমান (শিমু), মনিরুজ্জামান মিলন তালুকদার, মো. আব্দুল হামিদ, শামীম আরা বেগম, মোশারফ, চানু মিয়া, সেতু দত্তসহ আরও অনেকে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও সাবেক এমপি আতিউর রহমান আতিকের নির্দেশে তৎকালীন ডিবি ওসি ও কয়েকজন কনস্টেবলসহ গত ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় শহরের সজবরখিলা মহল্লার তার নিজ বাড়ি থেকে আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চুকে গ্রেফতার করে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৪ ডিসেম্বর রাতি আড়াইটায় আবু সিদ্দিকী বাচ্চুর নিথর দেহটি তার বাড়িতে রেখে যায় পুলিশ।

পরিবারের অভিযোগ, “আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চু ডিস ক্যাবলের ব্যবসা ও পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তার নামে পূর্বে কোনো মামলা ছিল না। তাকে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডিবি হেফাজতে নিয়ে পিটিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমরা সরকারের কাছে এই হত্যায় জড়িত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাস্তির দাবি করছি।”

নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মোহন বলেন, “বাবাকে হত্যা করার পর পুলিশ পাহারায় জানাজা এবং দাফন করা হয়। আমরা মামলা করতে পারি নাই। মামলা না করার জন্য পুলিশ সব সময় আমাদেরকে ভয় দেখাতো এবং আমাদের তিন ভাইকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করেছে। তাই ভয়ে কিছু বলার সাহস পাইনি। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।”

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল আজিজ সজীব রানা বলেন, “এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মোহন সাবেক পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার এবং ডিবি ওসি ও কয়েকজন কনস্টেবলসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আাদালতে একটি মামলা করেছেন। সিআর আমলি আদালত সদর মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই জামালপুর পুলিশ সুপারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।”

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

মোল্লাহাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোল্লাহাট সদর ইউনিট কমিটি শাখা দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

শেরপুরে ১৩ বছর পর বিএনপি নেতা বাচ্চু হত্যা মামলা দায়ের

আপডেট সময় ০৯:১৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

খাইরুল ইসলাম সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর

ডিবি হেফাজতে ২০১২ সালে জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চুর মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক হুইপ, সাবেক পুলিশ সুপার, সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার, সাবেক ডিবি ওসিসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আদালতে মামলাটি করেন নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মহন। মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সুলতান মাহমুদ মিলন মামলাটি আমলে নিয়ে জামালপুরের পিবিআই পুলিশ সুপারকে তদন্তের আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন— মো. আনিছুর রহমান, সাবেক পুলিশ সুপার-শেরপুর, মো. মহিবুল ইসলাম খান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-শেরপুর, মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক অফিসার ইনচার্জ-গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) শেরপুর, মো. জহুরুল ইসলাম, সাবেক সেকেন্ড অফিসার-গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি), মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক এসআই-পুলিশ ফাঁড়ি, শেরপুর, মো. রিয়াদ হোসেন, সাবেক এসআই- গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি), মো. আতিউর রহমান আতিক, সাবেক এমপি ও হুইপ শেরপুর, ফাতেমাতুজহুরা (শ্যামলী), সাবেক এমপি ও সভাপতি-শেরপুর মহিলা আওয়ামী লীগ।

এ ছাড়া মো. আরিফ রেজা, মো. শুভ রেজা, মো. আনোয়ারুল হাসান উৎপল, শ্রী চন্দ্রন সাহা, তরিকুল ইসলাম রাজু, সদস্য-শেরপুর জেলা যুবলীগ। আমিরুল ইসলাম, শরিফুর রহমান শরিফ, মোহাম্মদ আলী, মো. শহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আ. আলিম, মো. জাহাঙ্গীর আলম, আষীষ কুমার সুর, মাসুদ রানা, বেলাল হোসেন, মো. সাইদুল ইসলাম (সাইদ), মাহবুবা রহমান (শিমু), মনিরুজ্জামান মিলন তালুকদার, মো. আব্দুল হামিদ, শামীম আরা বেগম, মোশারফ, চানু মিয়া, সেতু দত্তসহ আরও অনেকে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও সাবেক এমপি আতিউর রহমান আতিকের নির্দেশে তৎকালীন ডিবি ওসি ও কয়েকজন কনস্টেবলসহ গত ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় শহরের সজবরখিলা মহল্লার তার নিজ বাড়ি থেকে আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চুকে গ্রেফতার করে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৪ ডিসেম্বর রাতি আড়াইটায় আবু সিদ্দিকী বাচ্চুর নিথর দেহটি তার বাড়িতে রেখে যায় পুলিশ।

পরিবারের অভিযোগ, “আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চু ডিস ক্যাবলের ব্যবসা ও পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তার নামে পূর্বে কোনো মামলা ছিল না। তাকে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডিবি হেফাজতে নিয়ে পিটিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমরা সরকারের কাছে এই হত্যায় জড়িত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাস্তির দাবি করছি।”

নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মোহন বলেন, “বাবাকে হত্যা করার পর পুলিশ পাহারায় জানাজা এবং দাফন করা হয়। আমরা মামলা করতে পারি নাই। মামলা না করার জন্য পুলিশ সব সময় আমাদেরকে ভয় দেখাতো এবং আমাদের তিন ভাইকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করেছে। তাই ভয়ে কিছু বলার সাহস পাইনি। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।”

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল আজিজ সজীব রানা বলেন, “এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মোহন সাবেক পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার এবং ডিবি ওসি ও কয়েকজন কনস্টেবলসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আাদালতে একটি মামলা করেছেন। সিআর আমলি আদালত সদর মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই জামালপুর পুলিশ সুপারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।”


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471