ময়মনসিংহ শহরের একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে মালামাল লুটের অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান খান জানান, শহরের ৭ নম্বর সি কে ঘোষ রোডে অবস্থিত হারুন টাওয়ারের নিচতলায় ‘সাঈম টেলিকম’ নামের একটি মোবাইল ফোন ও অ্যাক্সেসরিজের দোকান তিনি ২০০৬ সাল থেকে চালিয়ে আসছিলেন। তিনি জানান, আট লাখ টাকায় দোকানের পজেশন কিনে নিয়মিত ভাড়াও পরিশোধ করতেন।
মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৮ জুন মার্কেট মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুন তাকে জানান, ১৯ জুন নিচতলার সব দোকান বন্ধ থাকবে। সে অনুযায়ী তিনি দোকান বন্ধ রাখেন। কিন্তু ১৯ জুন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তখন তাকে আশ্বস্ত করা হয়, নিয়মিত ভাড়াদাতাদের দোকান উচ্ছেদ হবে না। এ আশ্বাসে তিনি বাড়ি ফিরে যান।
পরদিন ২০ জুন মাগরিবের নামাজের পর তিনি খবর পান, হারুনসহ অভিযুক্তরা তার দোকানের মালামাল লুট করছেন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, দোকানের সামনের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে মালামাল বাইরে বের করা হচ্ছে। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও অভিযুক্তরা কোনো সাড়া দেননি এবং তাকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চলে যেতে বলেন।
এজাহারে বলা হয়, বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তার দোকানের শাটার, সাইনবোর্ড, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে মোবাইল, এক্সেসরিজ ও আসবাবপত্রসহ মোট ৮৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৩ টাকার মালামাল নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এছাড়া দোকানের কাগজপত্র, ব্যাংকের চেকবই ও ব্যবসায়িক চুক্তিপত্রও লুট করা হয়।
আতিকুর রহমান খান মামলায় মার্কেট মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুনসহ ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করেছেন।
অভিযুক্ত হারুন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না জানি না। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।”
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, “ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”
এ ঘটনায় শহরের ব্যবসায়ী মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।