আমি তানভীর আহমেদ সুইট রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে রাজশাহী মহানগর যুবদলের আওতাধীন একজন সক্রিয় কর্মী।
বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজপথ আন্দোলন সংগ্রামে থেকে বিএনপি ঘোষিত প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। ফলশ্রুতিতে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের দোসরদের গণশত্রুতে পরিণত হয়েছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান সহ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আমি সরাসরি রাজপথে সামনের সারি থেকে অংশগ্রহণ করেছি তা আপনারা সকলেই জানেন। আমি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে চরম জুলুম নির্যাতনের শিকার। চারটিরও অধিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা মামলা আমার বিরুদ্ধে রয়েছে, একটানা ৭৮ দিন মিথ্যা মামলায় জেল জুলুমের শিকার হয়েছি, অর্থনৈতিকভাবে ও পারিবারিকভাবে চরম হেনস্তা ও অবহেলা স্বীকার হতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার যৌথ গণঅভ্যুত্থানে সকলের মত আমিও সম্মুখ সারি থেকে পতিত হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করি এবং সরকার পতনের পরও ছাত্র আন্দোলনে এবং বিগত সময়ে জুলুম নির্যাতনকারী, গুলি বর্ষণকারী, হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করি। পুলিশ তথা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্নভাবে তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি। আওয়ামী লীগের যারা জুলুম নির্যাতনকারী, অন্যায়কারী তাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থানের কারণে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে এজেন্টদের আমি শত্রুতে পরিণত হয়েছি। বিভিন্ন মামলার আসামিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে তাদের বিরাগভাজন হয়েছি।
কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি কথিত কিছু সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তি আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে, ব্যক্তিগত সুনাম ও সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে বিকৃত তথ্যসমৃদ্ধ সংবাদ প্রকাশ সহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি নামক ভয়ঙ্কর অপরাধের দায়ভার চাপানো হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে।
আমি আপনাদের মাধ্যমে আজকে উপস্থিত হয়ে চ্যালেঞ্জ করে জানাতে চাই যে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা মহল আমার বিরুদ্ধে আনিত যে কোন অভিযোগের তথ্য প্রমাণ যেন আপনাদের সামনে হাজির করে। শুধুমাত্র অনুমান নির্ভর সংবাদ বা তথ্য পরিবেশন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব কিন্তু সত্য লুকানো সম্ভব নয়। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা অন্য কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমি যে কোন শাস্তি মেনে নিতে প্রস্তুত। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াই আমার বড় অপরাধ। চিহ্নিত চাঁদাবাজদের কোন দল নেই, কোন ঠিকানা নেই। চাঁদাবাজদের পুনর্বাসনেকে বাধা দেয়ায়, তাদের অবৈধ কাজকে প্রতিহত করায় আমি আজকে অনলাইন মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার। আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাই, যদি আমি সত্যিই চাঁদাবাজি করে থাকি তাহলে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির শিকার কোন ব্যক্তি বা মহল প্রকাশ্যে এসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করল না কেন? বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করল না কেন? এই সংক্রান্ত কোন মামলা হলো না কেন? আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের কাছে আমি জানতে চাই আমি কখন, কার কাছ থেকে, কত টাকা দাবি করেছি? যারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগগুলো এনেছেন আশা করি তারা এগুলোর সদুত্তর দিবেন। বিভিন্ন শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে আমি কোন চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দলীয় অবস্থান থেকে আমরা প্রতিহত করি, দলীয় দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের কে নিয়ে সেখানে মাইকিং করি প্রচারণা চালায় যেন কোন ব্যাক্তি বা দলের নাম ব্যবহার করে কেউ কোন অবৈধ সুযোগ না নিতে পারে। সেখানে আমার অংশগ্রহণ রয়েছে, এমন অবস্থায় থেকে চাঁদাবাজির বা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমি ও আমার বাবা একজন প্রতিষ্ঠিত পুস্তক ব্যবসায়ী। পারিবারিকভাবে আমরা আর্থিকভাবে সচ্ছল। সুতরাং চাঁদাবাজির মত হারাম টাকার প্রতি আমার কোন লোভ লালসা নেই বরং ঘৃণা আছে।
শনিবার বেলা সাড়ে বারোটায় সোনাদিঘীর লোকনাথ স্কুলের মোড়ে বিএনপির কোন এক নেতার চেম্বারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।