ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবি সংস্কার ও রাকসু নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাবি সংস্কার ও রাকসু নিয়ে পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের রাকসু সহ বিভিন্ন দাবী নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সোমবার দুপুর ১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এই সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা জানেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের নেতৃস্থানীয় ও শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এবং দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, দেশের নাগরিকের ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২৪’ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহীদ হয়েছেন শহীদ ড. শামসুজ্জোহা সহ আরো ৩ জন শিক্ষক এবং ৩০ এর অধিক ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারী। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ জহিরুল ইসলাম শহীদ হয়েছেন।
জুলাই আন্দোলনের নয় দফার মধ্যে অন্যতম একটি দফা ছিলো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ও ছাত্রসংসদ চালু করা এবং সেই আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি বলে আমরা মনে করি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ১৪ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে এবং শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৯ সালে। দীর্ঘ তিন যুগ (৩৬ বছর) পর রাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে যেটি ইতিবাচক।
আমরা পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনসমূহ নিম্নোক্ত প্রস্তাবনা তুলে ধরছি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে অবস্থিত একটি অগ্রগামী বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বহু ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। এই বিদ্যাপিঠে পাহাড় ও সমতলের অনেকগুলো জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে যার সংখ্যা ৫’শ অধিক। এখানে নৃ-বিজ্ঞান ও ভাষাশিক্ষা ইন্সটিটিউটসহ বিশেষ বিভাগ রয়েছে। বাঙালি ভিন্ন জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের অধিকার, ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং গবেষণায় রাকসু হতে পারে শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্লাটফর্ম। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সৌন্দর্য হচ্ছে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল বা জাতিগোষ্ঠী থেকে সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রতিনিধিত্বের সুযোগ প্রদান করার মাধ্যমে সকলের সমান অবস্থান ও মর্যাদা নিশ্চিত করবে। এক্ষেত্রে ছাত্র সংসদ সেকেন্ড পার্লামেন্ট হিসেবেও বড় উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বিষয়ে আমাদের প্রস্তাবনা হলো:
১. পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদবী যুক্ত করা।
যৌক্তিকতা: বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু ভাষা, ধর্ম ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রয়েছে। পিছিয়ে পড়া জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিতকরণ, ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা, গবেষণা এবং বিভিন্ন সমস্যাবলীর সমাধানের জন্য এই সম্পাদক পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হবেন। ক্যাম্পাসের শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষার্থে বুলিং, রেসিজম প্রতিরোধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় রেখে কাজ করবে। সিনেটে যে পাঁচজন প্রতিনিধি থাকেন তাঁর মধ্যে উক্ত সম্পাদক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
২. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক পদবী যুক্ত করা
যৌক্তিকতা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে পরিণত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের (ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী) স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ ও চিকিৎসা মনিটরিং করতে উক্ত সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে কাজ করবে।
৩. যে সকল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও নারীর ওপর নিপীড়ন কার্যকলাপের প্রমাণ আছে তাদেরকে রাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া।
৪. ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে উপাচার্যের ক্ষমতা ভারসাম্য করা।
যৌক্তিকতা: অনুচ্ছেদ ৭(১) অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংসদকে উপাচার্য চাইলে যেকোন মুহূর্তে স্থগিত ঘোষণা করতে পারেন। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একতরফাভাবে ক্ষমতা ন্যস্ত থাকা অযৌক্তিক। এক্ষেত্রে রাকসু নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বাতিল কমিটি সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে নির্ধারণ হওয়া উচিত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাকসু ভেঙে দেওয়া বা স্থগিত করে দেওয়ার সর্বময় ক্ষমতা ভিসির হাতে না থেকে নির্বাহী কমিটির হাতে থাকবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে প্রস্তাবনা
১। পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের কোটা সিট বৃদ্ধি করা ও সকল বিভাগ/ইন্সটিটিউটে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
২। সকল জাতিসত্তাসমূহের নিজস্ব মাতৃভাষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট চালু করা।
৩। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত পাহাড় ও সমতলের জাতিসত্তা শিক্ষার্থীদের হলে আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৪। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে পাহাড় ও সমতলের জাতিসত্তা বিষয়ক একটা কর্ণার রাখা।
৫। পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের জাতিসত্তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে নূন্যতম ৫ দিন ছুটি ঘোষণা করা।
সংবাদ সম্মেলনে পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষে:
১. বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), রাবি শাখা
২. আদিবাসী স্টুডেন্টস্ এসোসিয়েশন অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি (আসারু)
৩. বাংলাদেশ কোচ-রাজবংশী-বর্মন ছাত্র সংগঠন
8. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

মোল্লাহাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোল্লাহাট সদর ইউনিট কমিটি শাখা দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

রাবি সংস্কার ও রাকসু নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০২:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাবি সংস্কার ও রাকসু নিয়ে পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের রাকসু সহ বিভিন্ন দাবী নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সোমবার দুপুর ১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এই সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা জানেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের নেতৃস্থানীয় ও শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এবং দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, দেশের নাগরিকের ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২৪’ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহীদ হয়েছেন শহীদ ড. শামসুজ্জোহা সহ আরো ৩ জন শিক্ষক এবং ৩০ এর অধিক ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারী। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ জহিরুল ইসলাম শহীদ হয়েছেন।
জুলাই আন্দোলনের নয় দফার মধ্যে অন্যতম একটি দফা ছিলো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ও ছাত্রসংসদ চালু করা এবং সেই আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি বলে আমরা মনে করি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ১৪ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে এবং শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৯ সালে। দীর্ঘ তিন যুগ (৩৬ বছর) পর রাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে যেটি ইতিবাচক।
আমরা পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনসমূহ নিম্নোক্ত প্রস্তাবনা তুলে ধরছি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে অবস্থিত একটি অগ্রগামী বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বহু ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। এই বিদ্যাপিঠে পাহাড় ও সমতলের অনেকগুলো জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে যার সংখ্যা ৫’শ অধিক। এখানে নৃ-বিজ্ঞান ও ভাষাশিক্ষা ইন্সটিটিউটসহ বিশেষ বিভাগ রয়েছে। বাঙালি ভিন্ন জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের অধিকার, ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং গবেষণায় রাকসু হতে পারে শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্লাটফর্ম। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সৌন্দর্য হচ্ছে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল বা জাতিগোষ্ঠী থেকে সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রতিনিধিত্বের সুযোগ প্রদান করার মাধ্যমে সকলের সমান অবস্থান ও মর্যাদা নিশ্চিত করবে। এক্ষেত্রে ছাত্র সংসদ সেকেন্ড পার্লামেন্ট হিসেবেও বড় উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বিষয়ে আমাদের প্রস্তাবনা হলো:
১. পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদবী যুক্ত করা।
যৌক্তিকতা: বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু ভাষা, ধর্ম ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রয়েছে। পিছিয়ে পড়া জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিতকরণ, ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা, গবেষণা এবং বিভিন্ন সমস্যাবলীর সমাধানের জন্য এই সম্পাদক পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হবেন। ক্যাম্পাসের শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষার্থে বুলিং, রেসিজম প্রতিরোধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় রেখে কাজ করবে। সিনেটে যে পাঁচজন প্রতিনিধি থাকেন তাঁর মধ্যে উক্ত সম্পাদক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
২. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক পদবী যুক্ত করা
যৌক্তিকতা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে পরিণত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের (ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী) স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ ও চিকিৎসা মনিটরিং করতে উক্ত সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে কাজ করবে।
৩. যে সকল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও নারীর ওপর নিপীড়ন কার্যকলাপের প্রমাণ আছে তাদেরকে রাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া।
৪. ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে উপাচার্যের ক্ষমতা ভারসাম্য করা।
যৌক্তিকতা: অনুচ্ছেদ ৭(১) অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংসদকে উপাচার্য চাইলে যেকোন মুহূর্তে স্থগিত ঘোষণা করতে পারেন। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একতরফাভাবে ক্ষমতা ন্যস্ত থাকা অযৌক্তিক। এক্ষেত্রে রাকসু নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বাতিল কমিটি সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে নির্ধারণ হওয়া উচিত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাকসু ভেঙে দেওয়া বা স্থগিত করে দেওয়ার সর্বময় ক্ষমতা ভিসির হাতে না থেকে নির্বাহী কমিটির হাতে থাকবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে প্রস্তাবনা
১। পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের কোটা সিট বৃদ্ধি করা ও সকল বিভাগ/ইন্সটিটিউটে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
২। সকল জাতিসত্তাসমূহের নিজস্ব মাতৃভাষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট চালু করা।
৩। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত পাহাড় ও সমতলের জাতিসত্তা শিক্ষার্থীদের হলে আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৪। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে পাহাড় ও সমতলের জাতিসত্তা বিষয়ক একটা কর্ণার রাখা।
৫। পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের জাতিসত্তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে নূন্যতম ৫ দিন ছুটি ঘোষণা করা।
সংবাদ সম্মেলনে পাহাড় ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষে:
১. বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), রাবি শাখা
২. আদিবাসী স্টুডেন্টস্ এসোসিয়েশন অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি (আসারু)
৩. বাংলাদেশ কোচ-রাজবংশী-বর্মন ছাত্র সংগঠন
8. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471