চাঁদপুরে মেঘনা নদী থেকে মো. ফরহাদ জুয়েল (২৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সদরের নীলকমল এলাকায় মেঘনা নদীতে লাশটি দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ি লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জুয়েল কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও চার বছরের সন্তান আবু সুফিয়ান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, জুয়েল ৩জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা বাড়ি থেকে বের হয়।
তার স্ত্রী বলেন,বিকেল বেলা জুয়েল মোহনপুর যাবে এবং সেখান থেকে এখলাসপুর যাবে এই কথা বলে বের হোন। তার পর থেকে আর ফিরেন নি।
জুয়েলের বোন হাসিনা বেগম বলেন,অনেক বছর আগে থেকেই আমাদের সাথে আমার চাচাতো ভাইদের সাথে জায়গা নিয়ে ঝগড়া হয়।আমার বাবা দক্ষিণ কোরিয়া থাকা কালীন বাড়িতে ঢোকার বা পাশের যায়গাটি কিনে,কিন্তু আমার (নজরুল ও জাহিদুল) চাচাতো ভাই জোড় পূর্বক ঐ জায়গাতে বিল্ডিং নির্মাণ করে।গত কয়েক মাসে আগে আমার ভাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ছয় মাস জেল ও খাটাইছে।দেখেন ৫ ই আগস্টের দিন আমার বাবাকে তারা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছে।তারপর তাদের ঘর দেখালো সেখানে ঘর ও আসবাবপত্র, টিবি ফ্রিজ ভাংচুর দেখা যায়।এ হত্যাকান্ড পরিকল্পিত, তারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
মুঠোফোনে জুয়েলের বড় ভাই সোহেল বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আমার বাবার মামাতো ভাই রহিজল এর দোকানে যান মোহনপুরে, জুয়েল বলেন, কাকা আমার ভালো লাগছে না, আমি চলে যাই যাই।
সোহেল আরও বলেন, আমার চাচাতো ভাই জাহিদুল কয়েক দিব আগেও রাতে আমাদের দরজার সামনে এসে হুমকি দেন যে আমাদের মেরে নদীতে ভাসিয়ে দেবে।তিনি আরো ও বলেন, আমাদের ঘরে হামলা করে সবকিছু ভাংচুর করে, আমাদের খাবারের প্লেট টুকোও নাই।
তিনি আরোও বলেন, শুক্রবার সকালের দিকে তার কাছে ত্রিশ হাজার টাকা দাবি করেন,ওসি চেক করে দেখেন তা ফেইক।
এদিকে শুক্রবার সকালে পাঁচানী স্কুলের পাশের রাস্তায় নিখোঁজের মোটরসাইকেল দেখা যায়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়,নিহত জুয়েলের লা/শ নীলকমল থেকে চাঁদপুর ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহিদুল ও নজরুল কে থানা আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচরের নীলকমল এলাকায় মেঘনা নদীতে জুয়েলের লাশ ভাসতে থাকতে দেখা যায়।নিখোঁজের ৪৮ ঘন্টা পর তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়।এ নিয়ে পরিবারে শোকের মাতম দেখা গেছে এবং এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।