এম মনিরুল ইসলাম 
শ্যামনগর সাতক্ষীরা থেকে:
খুলনা বিভাগীয় শহরের দক্ষিণাঞ্চল খ্যাত সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা। অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ ও উৎপাদনশীল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পরিদর্শনপূর্বক প্রকাশ,প্রায় ১০ দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা জুড়ে জমে থাকা পানিতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের উপজেলা গুলোর মধ্যে বৃহৎ উপজেলা সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগর। দরিদ্র হতদরিদ্র মধ্যবিত্ত মিলিয়ে অধিকাংশ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস এই জনপদে।অন্যতম নিদর্শন হিসেবে রয়েছে বিশ্বের নান্দনিক দর্শনীয় স্থান সুন্দরবন যা কিনা বিস্তৃত,বিশাল অফুরন্ত ভান্ডার সম্বলিত।
অভ্যন্তরীণ বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে কয়েকটি সামরিক বিভাগীয় প্রধান কার্যালয়।
বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের প্রধান কার্যালয়,বুড়িগোয়ালিনী নৌ থানা, টুরিস্ট পুলিশ সাতক্ষীরা জোন এর প্রধান কার্যালয়,বিজিপির খুলনা বিভাগীয় হেডকোয়ার্টার,আরো রয়েছে প্রাথমিক,উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘদিন অবহেলিত বিজি গাবুরা কলেজ। হিসেবে নদীমাতৃক এলাকা হলেও অন্যান্য জেলা উপজেলা তুলনায় শ্যামনগর অনেকাংশে এগিয়ে রয়েছে এরমধ্যে সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ি উন্নত প্রযুক্তিতে বক্সে কাঁকড়া চাষ অতঃপর বিদেশে রপ্তানি করে লক্ষ কোটি টাকা উপার্জন করে চলেছেন সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরা। বুড়িগোয়ালিনী, নীল ডুমুর জনসাধারণের একমাত্র চলাচলের পিচ ঢালাই রাস্তাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় মটর শ্রমিক সহ নসিমন অটো ভ্যান রাখার মত জায়গা খেয়াঘাট চত্বরে নাই বিজিবি চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি প্রায় সময় জ্যামে আটকে থাকে ধৈর্য ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেকেই এই ছোট্ট রাস্তা দিয়ে চলাচল যথাসাধ্য কষ্ট ও বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।
মোটর শ্রমিকদের পক্ষ থেকে স্ট্যাটার আশরাফুল আলম জানান,ভাড়ায় চালিত সকল যানবাহন রাখার জন্য সকল মোটর শ্রমিকের পক্ষ থেকে নিরাপদ স্থানের জন্য জন্য, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের প্রতি চরম দাবি উঠেছে।
ফলশ্রুতিতে ভবিষ্যতে স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে সকলেই নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন।
পাশাপাশি উপকূলীয় হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী জলাবদ্ধতায় আটকে, হুমকির মধ্যে রয়েছে হাজারো পরিবার।যত দ্রুত সম্ভব জলবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ভাড়ায় চালিত যানবাহন স্থানান্তরিত করা জরুরী বলে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
