বিশেষ প্রতিবেদন
আব্দুর রহমান নাদিম
স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়,
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের লামছি শম্ভুপুর বাংলা বাজারের পরিচিত মুখ, বাকপ্রতিবন্ধী মোঃ কবির ওরফে ‘বোবা কবির’, গত ২৯ জুলাই ২০২৫ সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
অপরদিকে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর, ১ আগস্ট সকালে তার বাড়ির সামনে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে মরদেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এটি কোনো পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
ভুক্তভোগীদের দাবি নিহতের বাড়িতে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যেখানে লেখা ছিল—
“একজনকে শেষ করেছি, আরো দুইজন বাকি আছে।” এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে
এই তথ্য এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনে সংগঠিত পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মামলা ও তদন্তে ধীরগতি
নিহতের ভাই কামরুল ইসলাম তজুমদ্দিন থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। ওসি জানান, “তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনো মামলা গ্রহণ করা হবে না।” হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এতে এলাকায় অসন্তোষ ও ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মানববন্ধন ও বিচার দাবি
১৫ আগস্ট স্থানীয় জনতা কবিরের হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন। বক্তারা বলেন—
“একজন নিরীহ বাকপ্রতিবন্ধী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, অথচ এখনও কোনো বিচার হয়নি।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনকে হুশিয়ারি করে বলেন যদি অতি দ্রুত সময়ের ভিতরে ন্যায় বিচার না করা হয় তাহলে আরো কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত নিচ্ছে এলাকাবাসী।
এদিকে বেরিয়ে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কবিরের চাচাদের সঙ্গে জমি-সম্পর্কিত বিরোধ চলছিল। স্থানীয়দের ধারণা, এই পারিবারিক বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। তবে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।
এলাকাবাসীর একমাত্র দাবি হলো—
বোবা কবিরের হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।