ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মতলব উত্তর উপজেলা পরিচিতি

মোঘল আমলে বর্তমান বাবু পাড়া ও পৈল পাড়া গ্রামদ্বয়ের উত্তর প্রান্তে গোমতীর শাখা ধনাগোদা নদীর তীরে অবস্থিত লালার হাট বাজারটি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হলে কলাদী গ্রামের উত্তর প্রান্তে উপর্যুক্ত নদীর তীরে বৈরাগীর হাট নামে একটি বাজার জমে উঠে। যা দেখে ঈর্ষাণিত হয়ে ফরিদপুরের জমিদারের জমিদারী বেড়ে মতলব জমাদার বৈরাগীর হাটের দক্ষিণে পশ্চিম অংশে নিজ নামে আরেকটি বাজার মেলায়। কিছু কাল দুটি বাজারই তীব্র প্রতিযোগিতায় চলার পর জমাদারের হাট মতলব নামে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আর বৈরাগীর হাট নামটি বিলুপ্ত হয়। এভাবেই মতলব জমাদারের নাম অনুসারে মতলব এর নামকরণ করা হয়। ১৯১৮ সালের ৯ আগস্ট মতলব গেজেটভূক্ত হয়। গেজেট নম্বর ২৩৮।
ঐতিহাসিকদের মতে মতলব উপজেলার নামকরণ করা হয় প্রায় ১২০ বছর পূর্বে। হিন্দু প্রধান এলাকা হিসাবে এখানে অনেক বাউল, বৈরাগী ও তান্ত্রীদের আখড়া ছিল। ১৯০০ সালে গর্ভমেন্ট চাঁদপুর সার্কেল বিভক্ত করে মতলব সার্কেল সৃষ্টি করে। ফলে ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে ঐ থানার অগ্রযাত্রা শুরু করে।
২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল ১টি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়ন (পরবর্তীতে ১টি বৃদ্ধি) নিয়ে স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে মেঘনা-ধনাগোদা নদী পরিবেষ্টিত দ্বীপাঞ্চল মতলব উত্তর উপজেলার যাত্রা শুরু হয়। এটি ছেংগারচর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড ঘনিয়ারপাড় গ্রামে মতলব উত্তর উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম হয়।পরবর্তীতে একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মতলব উত্তর নব-সৃষ্ট উপজেলা হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে। পাশ্ববর্তী মতলব উপজেলার উত্তর দিকে হওয়ার ফলে এ উপজেলার নামকরণ করা হয় মতলব উত্তর ।
মতলব উত্তর এর রয়েছে ঐতিহাসিক নিদর্শন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় খ্যাতি । কৃষি উৎপাদনে সেচ প্রদান, বন্যার ক্ষয় ক্ষতি থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নদী ভাংঙ্গন থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে ১৯৮৭-১৯৮৮ অর্থ বছরে নির্মিত হয় মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প । যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সেচ প্রকল্প এবং এর বৃত্তাকার ৬৪ কিঃ মিঃ। সেচ প্রকল্পের জন্য ১৭৫৮৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে।
আয়তন:-২৭৭.৫৩ বর্গকিলোমিটার /১০৭.১৫ বর্গমাইল
জনসংখ্যা –
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মতলব উত্তর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৯২,০৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৪০,৭৫৩ জন এবং মহিলা ১,৫১,৩০৪ জন। মোট পরিবার ৬৩,৭৮৪টি।[১] জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩০%। মোট ভোটার সংখ্যা ১,৯৯,২১০ জন (৩১/০১/২০১৩ পর্যন্ত)। পুরুষ ভোটার ৯৮,২৩৪ জন এবং মহিলা ভোটার ১,০০৯৭৬ জন।
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১০০ এবং প্রতি বর্গমাইলে ২৭০০ জন

মতলব উত্তর উপজেলার সাক্ষরতার হার স্বাক্ষরতার হার ৭৩% (পুরুষ ৭২% এবং মহিলা ৭৬%)।[১]
প্রাথমিক বিদ্যালয় – ১৬৮টি (সরকারী – ১২০টি, বে-সরকারী – ২৭টি, কমিউনিটি – ২১টি)।
জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় – ০৪টি।
উচ্চ বিদ্যালয় – ৩৩টি (সহশিক্ষা – ৩১টি, বালিকা – ২টি)।
মাদ্রাসা – ১০টি (দাখিল – ৪টি, আলিম – ৩টি, ফাজিল – ২টি, কামিল – ১টি)।
কলেজ – ৭টি (সহপাঠ – ৬টি, বালিকা – ১টি)।

অর্থনীতি-
মতলব উত্তর উপজেলার প্রধান অর্থনীতি কৃষি। চারদিকে নদী (মেঘনা ও ধনাগদা) বেষ্টিত উপজেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত বাঁধ কৃষির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ধনাগদা নদীর পানি দ্বারা কৃষিকাজ সম্পন্ন করা হয়। কৃষির পাশাপাশি এ উপজেলায় মৎস্য চাষ, পশু পালন, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক সম্প্রসারণ চলছে

মৎস-
পুকুরের সংখ্যা ৩৭৯৬টি, মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার বেসরকারী ০৬টি, বাৎসরিক মৎস্য চাহিদা ৬,১৮০ মে.টন, বাৎসরিক মৎস্য উৎপাদন ৫,৫১৩ মে.টন।

ভূমি ও রাজস্ব

মৌজা ১৪৭টি, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ১০টি, পৌর ভূমি অফিস ০১টি, মোট খাস জমি ৫৫৯৮.৮৬ একর, কৃষি ১৬৭.৩৯ একর, অকৃষি ১৫২৩.২২ একর, বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি ১৪.৭১ একর (কৃষি), বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন কর (দাবি) সাধারণ= ৩৮,৬০,২৮০/- ও সংস্থা= ১,৮৮,০৪,৭৪৭/-, বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন কর (আদায়) সাধারণ= ২৭,৩১২/-

স্বাস্থ্য
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ০১টি (৫০ শয্যাবিশিষ্ট)।
পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ১৪টি।
এম.সি.এইচ. ইউনিট ০১টি।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ২টি (১০ শয্যাবিশিষ্ট)।
জলবায়ু –
মাসভিত্তিক ২৪ ঘণ্টার গড় তাপমাত্রা:
মাসের নাম
তাপমাত্রা(ডিগ্রী সেলসিয়াস)
জানুয়ারি
১৯.০°
ফেব্রুয়ারি
২১.৪°
মার্চ
২৫.৬°
এপ্রিল
২৭.৮°
মে
২৮.৫°
জুন
২৮.২°
জুলাই
২৮.০°
আগস্ট
২৮.১°
সেপ্টেম্বর
২৮.৩°
অক্টোবর
২৭.৩°
নভেম্বর
২৩.৯°
ডিসেম্বর
২০.১°
যোগাযোগ ব্যবস্থা-
ঢাকা থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শ্রীরায়েরচর ব্রীজ হয়ে বাগানবাড়ী দিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদে আসতে হয়। চাঁদপুর থেকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপর দিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদে আসতে হয়। এ উপজেলার চারদিক নদী বেষ্টিত। নদীর তীর ঘেঁষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেড়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এক সময় নদীই ছিল মতলব উত্তর উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও সীমিত আকারে মেঘনা ও ধনাগদা নদীর মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাত্রী ও মালামাল পারাপার করা হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, অথবা চাদঁপুর থেকে লঞ্চযোগে মোহনপুর বা ষাটনল লঞ্চ ঘাট হয়ে মতলব উত্তর উপজেলায় আসা যায়। রেলপথে এ উপজেলার সাথে কোন যোগাযোগ নাই। এ উপজেলায় বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।
পাকা রাস্তা ১০৩.৩৯ কি.মি., আধা পাকা রাস্তা ১৮.৫৯ কি.মি., কাঁচা রাস্তা ৩৫.৬৯ কি.মি.,
ব্রীজ/কালভার্টের সংখ্যা ২৫৮টি,
নদীর সংখ্যা ০২টি (মেঘনা ও ধনাগদা)

দর্শনীয় স্থান –
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ
মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র
মতলব উত্তর মডেল মসজিদ, ছেংগারচর বাজার
দক্ষিণ টরকী বকুলতলা বেড়িবাঁধ
ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র
সোলেমান শাহ-এর মাজার
মেঘনা নদী ও ধনাগোদা নদী
লুধুয়া জমিদার বাড়ি
গজরা জমিদার বাড়ি
হামিদ মিয়া জমিদার বাড়ি
আনোরপুর জামে মসজিদ
জজ নগর শামীমা রাতুল শিশু পার্ক ও মিনি জো (পৌর পার্ক)
নেদায়ে ইসলাম এর প্রধান কার্যালয় (আল-উয়েসীয়া শরীফ কমপ্লেক্স)
রুহিতার পাড় দীঘি
কলাকান্দা মসজিদ
নাউরী মন্দির ও রথ
এখলাছপুর নদীর পাড়
আমাদের পাঠাগার, সিকিরচর

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

মোল্লাহাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোল্লাহাট সদর ইউনিট কমিটি শাখা দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মতলব উত্তর উপজেলা পরিচিতি

আপডেট সময় ১২:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

মোঘল আমলে বর্তমান বাবু পাড়া ও পৈল পাড়া গ্রামদ্বয়ের উত্তর প্রান্তে গোমতীর শাখা ধনাগোদা নদীর তীরে অবস্থিত লালার হাট বাজারটি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হলে কলাদী গ্রামের উত্তর প্রান্তে উপর্যুক্ত নদীর তীরে বৈরাগীর হাট নামে একটি বাজার জমে উঠে। যা দেখে ঈর্ষাণিত হয়ে ফরিদপুরের জমিদারের জমিদারী বেড়ে মতলব জমাদার বৈরাগীর হাটের দক্ষিণে পশ্চিম অংশে নিজ নামে আরেকটি বাজার মেলায়। কিছু কাল দুটি বাজারই তীব্র প্রতিযোগিতায় চলার পর জমাদারের হাট মতলব নামে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আর বৈরাগীর হাট নামটি বিলুপ্ত হয়। এভাবেই মতলব জমাদারের নাম অনুসারে মতলব এর নামকরণ করা হয়। ১৯১৮ সালের ৯ আগস্ট মতলব গেজেটভূক্ত হয়। গেজেট নম্বর ২৩৮।
ঐতিহাসিকদের মতে মতলব উপজেলার নামকরণ করা হয় প্রায় ১২০ বছর পূর্বে। হিন্দু প্রধান এলাকা হিসাবে এখানে অনেক বাউল, বৈরাগী ও তান্ত্রীদের আখড়া ছিল। ১৯০০ সালে গর্ভমেন্ট চাঁদপুর সার্কেল বিভক্ত করে মতলব সার্কেল সৃষ্টি করে। ফলে ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে ঐ থানার অগ্রযাত্রা শুরু করে।
২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল ১টি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়ন (পরবর্তীতে ১টি বৃদ্ধি) নিয়ে স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে মেঘনা-ধনাগোদা নদী পরিবেষ্টিত দ্বীপাঞ্চল মতলব উত্তর উপজেলার যাত্রা শুরু হয়। এটি ছেংগারচর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড ঘনিয়ারপাড় গ্রামে মতলব উত্তর উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম হয়।পরবর্তীতে একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মতলব উত্তর নব-সৃষ্ট উপজেলা হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে। পাশ্ববর্তী মতলব উপজেলার উত্তর দিকে হওয়ার ফলে এ উপজেলার নামকরণ করা হয় মতলব উত্তর ।
মতলব উত্তর এর রয়েছে ঐতিহাসিক নিদর্শন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় খ্যাতি । কৃষি উৎপাদনে সেচ প্রদান, বন্যার ক্ষয় ক্ষতি থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নদী ভাংঙ্গন থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে ১৯৮৭-১৯৮৮ অর্থ বছরে নির্মিত হয় মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প । যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সেচ প্রকল্প এবং এর বৃত্তাকার ৬৪ কিঃ মিঃ। সেচ প্রকল্পের জন্য ১৭৫৮৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে।
আয়তন:-২৭৭.৫৩ বর্গকিলোমিটার /১০৭.১৫ বর্গমাইল
জনসংখ্যা –
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মতলব উত্তর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৯২,০৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৪০,৭৫৩ জন এবং মহিলা ১,৫১,৩০৪ জন। মোট পরিবার ৬৩,৭৮৪টি।[১] জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩০%। মোট ভোটার সংখ্যা ১,৯৯,২১০ জন (৩১/০১/২০১৩ পর্যন্ত)। পুরুষ ভোটার ৯৮,২৩৪ জন এবং মহিলা ভোটার ১,০০৯৭৬ জন।
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১০০ এবং প্রতি বর্গমাইলে ২৭০০ জন

মতলব উত্তর উপজেলার সাক্ষরতার হার স্বাক্ষরতার হার ৭৩% (পুরুষ ৭২% এবং মহিলা ৭৬%)।[১]
প্রাথমিক বিদ্যালয় – ১৬৮টি (সরকারী – ১২০টি, বে-সরকারী – ২৭টি, কমিউনিটি – ২১টি)।
জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় – ০৪টি।
উচ্চ বিদ্যালয় – ৩৩টি (সহশিক্ষা – ৩১টি, বালিকা – ২টি)।
মাদ্রাসা – ১০টি (দাখিল – ৪টি, আলিম – ৩টি, ফাজিল – ২টি, কামিল – ১টি)।
কলেজ – ৭টি (সহপাঠ – ৬টি, বালিকা – ১টি)।

অর্থনীতি-
মতলব উত্তর উপজেলার প্রধান অর্থনীতি কৃষি। চারদিকে নদী (মেঘনা ও ধনাগদা) বেষ্টিত উপজেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত বাঁধ কৃষির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ধনাগদা নদীর পানি দ্বারা কৃষিকাজ সম্পন্ন করা হয়। কৃষির পাশাপাশি এ উপজেলায় মৎস্য চাষ, পশু পালন, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক সম্প্রসারণ চলছে

মৎস-
পুকুরের সংখ্যা ৩৭৯৬টি, মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার বেসরকারী ০৬টি, বাৎসরিক মৎস্য চাহিদা ৬,১৮০ মে.টন, বাৎসরিক মৎস্য উৎপাদন ৫,৫১৩ মে.টন।

ভূমি ও রাজস্ব

মৌজা ১৪৭টি, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ১০টি, পৌর ভূমি অফিস ০১টি, মোট খাস জমি ৫৫৯৮.৮৬ একর, কৃষি ১৬৭.৩৯ একর, অকৃষি ১৫২৩.২২ একর, বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি ১৪.৭১ একর (কৃষি), বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন কর (দাবি) সাধারণ= ৩৮,৬০,২৮০/- ও সংস্থা= ১,৮৮,০৪,৭৪৭/-, বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন কর (আদায়) সাধারণ= ২৭,৩১২/-

স্বাস্থ্য
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ০১টি (৫০ শয্যাবিশিষ্ট)।
পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ১৪টি।
এম.সি.এইচ. ইউনিট ০১টি।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ২টি (১০ শয্যাবিশিষ্ট)।
জলবায়ু –
মাসভিত্তিক ২৪ ঘণ্টার গড় তাপমাত্রা:
মাসের নাম
তাপমাত্রা(ডিগ্রী সেলসিয়াস)
জানুয়ারি
১৯.০°
ফেব্রুয়ারি
২১.৪°
মার্চ
২৫.৬°
এপ্রিল
২৭.৮°
মে
২৮.৫°
জুন
২৮.২°
জুলাই
২৮.০°
আগস্ট
২৮.১°
সেপ্টেম্বর
২৮.৩°
অক্টোবর
২৭.৩°
নভেম্বর
২৩.৯°
ডিসেম্বর
২০.১°
যোগাযোগ ব্যবস্থা-
ঢাকা থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শ্রীরায়েরচর ব্রীজ হয়ে বাগানবাড়ী দিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদে আসতে হয়। চাঁদপুর থেকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপর দিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদে আসতে হয়। এ উপজেলার চারদিক নদী বেষ্টিত। নদীর তীর ঘেঁষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেড়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এক সময় নদীই ছিল মতলব উত্তর উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও সীমিত আকারে মেঘনা ও ধনাগদা নদীর মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাত্রী ও মালামাল পারাপার করা হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, অথবা চাদঁপুর থেকে লঞ্চযোগে মোহনপুর বা ষাটনল লঞ্চ ঘাট হয়ে মতলব উত্তর উপজেলায় আসা যায়। রেলপথে এ উপজেলার সাথে কোন যোগাযোগ নাই। এ উপজেলায় বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।
পাকা রাস্তা ১০৩.৩৯ কি.মি., আধা পাকা রাস্তা ১৮.৫৯ কি.মি., কাঁচা রাস্তা ৩৫.৬৯ কি.মি.,
ব্রীজ/কালভার্টের সংখ্যা ২৫৮টি,
নদীর সংখ্যা ০২টি (মেঘনা ও ধনাগদা)

দর্শনীয় স্থান –
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ
মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র
মতলব উত্তর মডেল মসজিদ, ছেংগারচর বাজার
দক্ষিণ টরকী বকুলতলা বেড়িবাঁধ
ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র
সোলেমান শাহ-এর মাজার
মেঘনা নদী ও ধনাগোদা নদী
লুধুয়া জমিদার বাড়ি
গজরা জমিদার বাড়ি
হামিদ মিয়া জমিদার বাড়ি
আনোরপুর জামে মসজিদ
জজ নগর শামীমা রাতুল শিশু পার্ক ও মিনি জো (পৌর পার্ক)
নেদায়ে ইসলাম এর প্রধান কার্যালয় (আল-উয়েসীয়া শরীফ কমপ্লেক্স)
রুহিতার পাড় দীঘি
কলাকান্দা মসজিদ
নাউরী মন্দির ও রথ
এখলাছপুর নদীর পাড়
আমাদের পাঠাগার, সিকিরচর