ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নয়াগাং খেলার মাঠ বিলীন: বালু উত্তোলনে চাঁদাবাজির অভিযোগ

পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়াগাং এলাকার ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ আজ বিলীন হওয়ার পথে। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে মাঠের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, কিছু প্রভাবশালী চক্র প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন এই বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে নদী ভাঙন তীব্র হচ্ছে এবং আশপাশের এলাকাগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নয়াগাং সংলগ্ন এলাকায় সন্ধ্যার পরপরই শুরু হয় বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এসব বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতি ট্রাক থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে — যা সরাসরি স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী ও কথিত “প্রশাসনের লোক”দের পকেটে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ যেন প্রকাশ্য চাঁদাবাজি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, “প্রতিদিন রাতের বেলায় শত শত নৌকা দিয়ে বালু নিয়ে যায়। প্রত্যেক নৌকা থেকে ১৫০০-২০০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হয়।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়ন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে একাধিকবার মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে নদীভাঙন ও অবৈধ চাঁদাবাজি দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, তারা মানববন্ধন ও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হবেন।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

মোল্লাহাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোল্লাহাট সদর ইউনিট কমিটি শাখা দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নয়াগাং খেলার মাঠ বিলীন: বালু উত্তোলনে চাঁদাবাজির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:০৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়াগাং এলাকার ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ আজ বিলীন হওয়ার পথে। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে মাঠের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, কিছু প্রভাবশালী চক্র প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন এই বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে নদী ভাঙন তীব্র হচ্ছে এবং আশপাশের এলাকাগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নয়াগাং সংলগ্ন এলাকায় সন্ধ্যার পরপরই শুরু হয় বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এসব বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতি ট্রাক থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে — যা সরাসরি স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী ও কথিত “প্রশাসনের লোক”দের পকেটে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ যেন প্রকাশ্য চাঁদাবাজি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, “প্রতিদিন রাতের বেলায় শত শত নৌকা দিয়ে বালু নিয়ে যায়। প্রত্যেক নৌকা থেকে ১৫০০-২০০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হয়।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়ন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে একাধিকবার মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে নদীভাঙন ও অবৈধ চাঁদাবাজি দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, তারা মানববন্ধন ও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হবেন।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471