ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী আনজুম হত্যা রহস্য উদঘাটন: জুনেল মিয়ার স্বীকারোক্তি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার):

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী নাফিজা জান্নাত আনজুম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩৯ বছর বয়সী প্রতিবেশী মোঃ জুনেল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ব্যর্থ প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত জুনেল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন সকালে নাফিজা কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। দুদিন পর, ১৪ জুন বিকেলে তার অর্ধগলিত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ছড়ায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এটি নিখোঁজের ঘটনা মনে হলেও, ময়নাতদন্ত ও তদন্তে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ সত্য।

গ্রেফতারকৃত জুনেল মিয়া পুলিশকে জানান, তিনি ওই দিন সকালে নাফিজার পিছু নিয়ে তার চলার পথরুদ্ধ করেন। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে তিনি গলায় চাপ দিয়ে অচেতন করে ফেলেন এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পর মরদেহ একটি নির্জন স্থানে ফেলে দেন। আলামত লুকানোর উদ্দেশ্যে নাফিজার বোরকা, স্কুল ব্যাগ, বই ও জুতা ঝোপে লুকিয়ে রাখেন।

পরে আসামির দেওয়া তথ্যমতে, পুলিশ সেই সকল আলামত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কুলাউড়া থানা পুলিশ ও মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে পুরো ঘটনা দ্রুত উদঘাটন সম্ভব হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে কুলাউড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিহত নাফিজা জান্নাত আনজুম কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার এলাকার একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে স্কুলসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

মোল্লাহাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোল্লাহাট সদর ইউনিট কমিটি শাখা দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী আনজুম হত্যা রহস্য উদঘাটন: জুনেল মিয়ার স্বীকারোক্তি

আপডেট সময় ০৯:১২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার):

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী নাফিজা জান্নাত আনজুম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩৯ বছর বয়সী প্রতিবেশী মোঃ জুনেল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ব্যর্থ প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত জুনেল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন সকালে নাফিজা কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। দুদিন পর, ১৪ জুন বিকেলে তার অর্ধগলিত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ছড়ায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এটি নিখোঁজের ঘটনা মনে হলেও, ময়নাতদন্ত ও তদন্তে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ সত্য।

গ্রেফতারকৃত জুনেল মিয়া পুলিশকে জানান, তিনি ওই দিন সকালে নাফিজার পিছু নিয়ে তার চলার পথরুদ্ধ করেন। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে তিনি গলায় চাপ দিয়ে অচেতন করে ফেলেন এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যার পর মরদেহ একটি নির্জন স্থানে ফেলে দেন। আলামত লুকানোর উদ্দেশ্যে নাফিজার বোরকা, স্কুল ব্যাগ, বই ও জুতা ঝোপে লুকিয়ে রাখেন।

পরে আসামির দেওয়া তথ্যমতে, পুলিশ সেই সকল আলামত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কুলাউড়া থানা পুলিশ ও মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে পুরো ঘটনা দ্রুত উদঘাটন সম্ভব হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে কুলাউড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিহত নাফিজা জান্নাত আনজুম কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার এলাকার একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে স্কুলসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।