মোঃ আবু তৈয়ব, হাটহাজারী, ( প্রতিনিধি) :
চট্টগ্রামের আলেমদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হাটহাজারী ওলামা পরিষদ
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার বিটিসিএল টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মহিবুল্লাহ মিয়াজীকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি ও হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র মুফতি ও মুহাদ্দিস মুবাল্লিগে ইসলাম আল্লামা মুফতি জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই মুফতি মহিবুল্লাহ মিয়াজীকে হুমকি এবং চাপের মুখে ফেলা হচ্ছিল। তাঁকে ইসকনের নেতাদের পক্ষে বক্তব্য রাখতে বলা হতো। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির বিরুদ্ধে এবং হিন্দু-মুসলমান প্রেমের পক্ষে বক্তব্য দিতে বলা হতো। যদি তিনি তাদের নির্দেশ মেনে মসজিদে বয়ান দিতেন, তবে কোটি টাকা দেওয়ার প্রলোভনও দেওয়া হতো। অন্যথায়, তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণহানি ও ক্ষতির হুমকি দেওয়া হতো।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গত বুধবার (২২ অক্টোবর) ফজরের নামাজের পর মুফতিকে হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় একটি এম্বুলেন্সে করে পাঁচ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায়। তারা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে, নগ্ন করে হুমকি দেয় এবং বাংলায় কথা বললেও তাদের উচ্চারণ ও ব্যবহার থেকে বোঝা যায় তারা বাংলাদেশি নয়। তারা এক এক করে সব আলেমের ক্ষতি করার হুমকিও দিয়েছে।
আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বলেন, “নির্যাতনের এই ঘটনা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছে, যে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সংগঠিত হতে পারে। ইসকন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড, নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষণ এবং খতিব মুফতি হাবিবুল্লাহ মিয়াজীর অপহরণ একই সূত্রে ঘটেছে।”
বিবৃতিতে তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই উগ্রবাদী সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে হবে। ইসকনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।
নিজস্ব সংবাদ : 

























