ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইগাতীতে এক গৃহবধুর কান্ড, সোনা থুইয়া আঁচলে গিটটু

 

আদিকালের কবি গুরুদের প্রবাদ বাক্য “সোনা থুইয়া আঁচলে গিটটু” অর্থাৎ-বউ-শাশ্বুড়ি একসাথে নদীতে গোসল করতে গিয়ে শ্বাশুড়ি মাথায় মুখে সাবান লাগাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় শ্বাশুড়ির কানের স্বর্নের ঝুমকা খুলে যায়। ডাঙ্গায় থাকা বউকে শ্বাশুড়ি বললো ‘মা’ এটা তোমার আঁচলে গিট্টু দিয়ে রাখ। শ্বাশুড়ি সাবান কামর চোখে, বউয়ের আঁচল পাতা হাতে দিতেই ঝুমকাটি ডাঙ্গায় পড়ে গেল। বউমা ঝুমকার দিকে না তাকিয়ে, সাবানের ফেনাকে আঁচলে গিট্টু দিয়ে রেখে দিল। বলছিলাম ঝিনাইগাতীর আইরিন নামে এক গৃহবধুর কথা। গৃহবধূ আইরিন ঝিনাইগাতী উপজেলার দড়িকালিনগর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সুমন মিয়ার স্ত্রী। এবং পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী গ্রামের আমজাদ মিয়ার কন্যা। জানা গেছে গত ৩ বছর পুর্বে আইরিনের বিয়ে হয় সুমন মিয়ার সাথে। সুমন মিয়া ও আইরিনের ঘর সংসার চলাকালে গত ৩ মাস ধরে আরাফাত নামে এক ছেলের সঙ্গে ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলে গৃহবধু আইরিন। বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে সুমন ও আইরিনের সংসারে দেখা দেয় অশান্তি। এদিকে আরাফাতের সাথে আইরিনের মোবাইলে ও মেসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। একপর্যায়ে গত ১৬ জুন সোমবার আরাফাতের সাথে অজানার উদ্যেশ্যে পারি জমানোর আশায় আরাফাতের ডাকে আইরিন স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারে আরাফাতে কাছে আসে। কিন্তু আরাফাত আইরিনের সাথে দেখা না করে গা- ঢাকা দেয়। এতে বিপাকে পরে আইরিন। আরাফাতকে খুঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঝিনাইগাতী বাজারে আইরিনের সাথে দেখা মেলে আইরিনের তা-লই শশুর লাল মিয়ার সাথে। পরে বিস্তারিত জেনে লাল মিয়া আইরিনকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় লাল মিয়া বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আইরিনের জবানবন্দি নেয়। আইরিন পুলিশকে আরাফাতের সাথে সম্পর্কের কথা জানিয়ে তার স্বামী সুমন মিয়ার ঘর সংসার করবেন না বলে জানান। পরে পুলিশের সহায়তায় আইরিনকে তার বাবা আমজাদ মিয়ার হাতে তুলে দেয় হয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমন মিয়াও আর আইরিনকে ঘরে তুলতে চাইছেন না। অপরদিকে আরাফাতের সন্ধ্যানও মিলছে না। ফলে পরকীয়া জড়িয়ে একুল ওকুল দু কুলই হারালেন গৃহবধূ আইরিন। ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

সংস্কারে আটকে গেছে ববির মাঠ, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

ঝিনাইগাতীতে এক গৃহবধুর কান্ড, সোনা থুইয়া আঁচলে গিটটু

আপডেট সময় ০৮:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

 

আদিকালের কবি গুরুদের প্রবাদ বাক্য “সোনা থুইয়া আঁচলে গিটটু” অর্থাৎ-বউ-শাশ্বুড়ি একসাথে নদীতে গোসল করতে গিয়ে শ্বাশুড়ি মাথায় মুখে সাবান লাগাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় শ্বাশুড়ির কানের স্বর্নের ঝুমকা খুলে যায়। ডাঙ্গায় থাকা বউকে শ্বাশুড়ি বললো ‘মা’ এটা তোমার আঁচলে গিট্টু দিয়ে রাখ। শ্বাশুড়ি সাবান কামর চোখে, বউয়ের আঁচল পাতা হাতে দিতেই ঝুমকাটি ডাঙ্গায় পড়ে গেল। বউমা ঝুমকার দিকে না তাকিয়ে, সাবানের ফেনাকে আঁচলে গিট্টু দিয়ে রেখে দিল। বলছিলাম ঝিনাইগাতীর আইরিন নামে এক গৃহবধুর কথা। গৃহবধূ আইরিন ঝিনাইগাতী উপজেলার দড়িকালিনগর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সুমন মিয়ার স্ত্রী। এবং পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী গ্রামের আমজাদ মিয়ার কন্যা। জানা গেছে গত ৩ বছর পুর্বে আইরিনের বিয়ে হয় সুমন মিয়ার সাথে। সুমন মিয়া ও আইরিনের ঘর সংসার চলাকালে গত ৩ মাস ধরে আরাফাত নামে এক ছেলের সঙ্গে ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলে গৃহবধু আইরিন। বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে সুমন ও আইরিনের সংসারে দেখা দেয় অশান্তি। এদিকে আরাফাতের সাথে আইরিনের মোবাইলে ও মেসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। একপর্যায়ে গত ১৬ জুন সোমবার আরাফাতের সাথে অজানার উদ্যেশ্যে পারি জমানোর আশায় আরাফাতের ডাকে আইরিন স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারে আরাফাতে কাছে আসে। কিন্তু আরাফাত আইরিনের সাথে দেখা না করে গা- ঢাকা দেয়। এতে বিপাকে পরে আইরিন। আরাফাতকে খুঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঝিনাইগাতী বাজারে আইরিনের সাথে দেখা মেলে আইরিনের তা-লই শশুর লাল মিয়ার সাথে। পরে বিস্তারিত জেনে লাল মিয়া আইরিনকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় লাল মিয়া বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আইরিনের জবানবন্দি নেয়। আইরিন পুলিশকে আরাফাতের সাথে সম্পর্কের কথা জানিয়ে তার স্বামী সুমন মিয়ার ঘর সংসার করবেন না বলে জানান। পরে পুলিশের সহায়তায় আইরিনকে তার বাবা আমজাদ মিয়ার হাতে তুলে দেয় হয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমন মিয়াও আর আইরিনকে ঘরে তুলতে চাইছেন না। অপরদিকে আরাফাতের সন্ধ্যানও মিলছে না। ফলে পরকীয়া জড়িয়ে একুল ওকুল দু কুলই হারালেন গৃহবধূ আইরিন। ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471