মোঃ আবু তৈয়ব, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, (প্রতিনিধি) :
বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড অমিত সাহাও ইসকন সদস্য।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি মোদীর এজেন্ট ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানিয়ে আজ সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে তিনি আলোচিত বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী অমিত সাহাকে ইসকন সদস্য বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে যারা ইন্ডিয়ান আগ্রাসন ও হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার, সুযোগ পেলেই তাদের কণ্ঠরোধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছে ইসকন। ২০১৯ সালে আলোচিত বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড অমিত সাহা তৎকালীন বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছাড়াও ইসকনের সদস্য ছিলেন (০৯ অক্টো. ২০১৯, দৈনিক সমকাল)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসকনের ব্যানারে তিনি ধর্মবিষয়ক বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতেন। এছাড়াও সেসময় গণমাধ্যমের বিভিন্ন রিপোর্টে উঠে এসেছিল আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা থেকে শীর্ষ অভিযুক্ত অমিত সাহাকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি। কিন্তু বুয়েটের দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। এদেশে মোদীর ভাড়াটে এজেন্ট ইসকন ছাড়া সেদিন খুনি অমিত সাহাকে রক্ষা করার নির্লজ্জ চেষ্টা আর কে করতে পারত!
তিনি বলেন, কথিত আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসকন কোনো নিবন্ধন বা অনুমোদন এখনো নেয়নি বাংলাদেশে। কোনো অনুমোদন বা নিবন্ধন ছাড়াই সারা দেশে মন্দিরের নামে একের পর এক স্থাপনা করা ও কার্যকলাপ চালানো অবশ্যই গুরুতর প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। বাংলাদেশের আইন-কানুন ফাঁকি দেওয়ার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থেকে এই কৌশল কিনা তা সরকারকে আরো তদন্ত করে দেখতে হবে। অর্থপাচারের দায়ে গত বছরের নভেম্বরে ১৭ জন ইসকন সদস্যের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার কথা আগেও আমরা উল্লেখ করেছি।
ইসলামাবাদী বলেন, ইসকন এদেশে কোনো ‘হিন্দু’ বা ‘সংখ্যালঘু’ ঘটনা নয়। মুসলমানদের ওপর নির্যাতন ছাড়াও সাধারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও জমি দখল করে নানাভাবে তাদেরও নির্যাতন করেছে ইসকন। সনাতনী ভিকটিমদের অভিযোগগুলোও তদন্ত করতে হবে সরকারকে। বাংলাদেশে মোদীর এজেন্ট উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। ইসকন আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে।
নিজস্ব সংবাদ : 
























