ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে জামায়াতের কার্যালয়ে তালা দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

আলমগীর হুসেন, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান

চট্টগ্রামে জামায়াতের কার্যালয়ে তালা দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
আলমগীর হুসেন, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান

জোরারগঞ্জ বাজারে ৬টি দোকান ও জামায়াতের ইউনিয়ন কার্যালয়ের তালা দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের জের ধরে জামায়াতের কার্যালয়, দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সোমবার রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জামায়াত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দোকানে তালা দেওয়ার আগে তাদের মারধর করে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে জোরারগঞ্জ বাজারে গিয়ে ৬ টি দোকান ও জামায়াতের ইউনিয়ন কার্যালয়ের তালা খুলে দেন।

ভুক্তভোগী জামায়াতের কর্মী-সমর্থক ও ব্যবসায়ীরা জানান, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বালু ভরাটের কাজ ভাগাভাগি নিয়ে সোমবার দুপুরে জোরারগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুকুল আলম সোহান ও সাবেক শিবির নেতা জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা জোরারগঞ্জ বাজারে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের কার্যালয় ও জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের ৬ টি দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়।

তার আগে ব্যবসায়ীদের পিটিয়ে ও হুমকি দিয়ে বাজার ছাড়া করা হয়।

তালা দেয়া ৬ টি দোকান হচ্ছে আনোয়ার হোসেনের বেড় তোশকের দোকান, শরীফের ওয়ার্কশপ, শাহানেওয়াজের কনফেকশনারি দোকান, মোহাম্মদ নবী ও সোহেলের আসবাব তৈরির দোকান ও ইউসুফের রড় সিমেন্টের দোকান।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ‘সোমবার দুপুরে জোরারগঞ্জ বাজারে বিএনপি ও জামায়াতের দুইটি পক্ষের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। আমি এলাকার থাকলে এটি হতে দিতাম না। এই ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় বিএনপির অতি উৎসাহী কিছু লোক জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের কয়েকটি দোকানে তালা দিয়েছেন।

যারাই এ কাজ করেছে, তারা মোটেও ঠিক করেনি। আমি জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বাজারে গিয়ে দোকানগুলোর তালা খুলে দিয়েছি।’
জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী বলেন, ‘সোমবার জোরারগঞ্জ বাজারে ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির কিছু লোকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেই সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় জোরারগঞ্জ বাজারে আমাদের দলীয় কার্যালয় ও জামায়াত–সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় বিএনপির লোকজন।

এ বিষয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মাসুকুল আলম সোহানকে ফোনে বারবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম সিফাতুল মাজদার বলেন, সোমবার রাতে জোরারগঞ্জ বাজারে জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দোকানে তালা দেওয়ার বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:২৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
২৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামে জামায়াতের কার্যালয়ে তালা দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

আপডেট সময় ০১:২৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামে জামায়াতের কার্যালয়ে তালা দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
আলমগীর হুসেন, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান

জোরারগঞ্জ বাজারে ৬টি দোকান ও জামায়াতের ইউনিয়ন কার্যালয়ের তালা দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের জের ধরে জামায়াতের কার্যালয়, দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সোমবার রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জামায়াত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দোকানে তালা দেওয়ার আগে তাদের মারধর করে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে জোরারগঞ্জ বাজারে গিয়ে ৬ টি দোকান ও জামায়াতের ইউনিয়ন কার্যালয়ের তালা খুলে দেন।

ভুক্তভোগী জামায়াতের কর্মী-সমর্থক ও ব্যবসায়ীরা জানান, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বালু ভরাটের কাজ ভাগাভাগি নিয়ে সোমবার দুপুরে জোরারগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুকুল আলম সোহান ও সাবেক শিবির নেতা জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা জোরারগঞ্জ বাজারে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের কার্যালয় ও জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের ৬ টি দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়।

তার আগে ব্যবসায়ীদের পিটিয়ে ও হুমকি দিয়ে বাজার ছাড়া করা হয়।

তালা দেয়া ৬ টি দোকান হচ্ছে আনোয়ার হোসেনের বেড় তোশকের দোকান, শরীফের ওয়ার্কশপ, শাহানেওয়াজের কনফেকশনারি দোকান, মোহাম্মদ নবী ও সোহেলের আসবাব তৈরির দোকান ও ইউসুফের রড় সিমেন্টের দোকান।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ‘সোমবার দুপুরে জোরারগঞ্জ বাজারে বিএনপি ও জামায়াতের দুইটি পক্ষের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। আমি এলাকার থাকলে এটি হতে দিতাম না। এই ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় বিএনপির অতি উৎসাহী কিছু লোক জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের কয়েকটি দোকানে তালা দিয়েছেন।

যারাই এ কাজ করেছে, তারা মোটেও ঠিক করেনি। আমি জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বাজারে গিয়ে দোকানগুলোর তালা খুলে দিয়েছি।’
জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী বলেন, ‘সোমবার জোরারগঞ্জ বাজারে ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির কিছু লোকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেই সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় জোরারগঞ্জ বাজারে আমাদের দলীয় কার্যালয় ও জামায়াত–সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় বিএনপির লোকজন।

এ বিষয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মাসুকুল আলম সোহানকে ফোনে বারবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম সিফাতুল মাজদার বলেন, সোমবার রাতে জোরারগঞ্জ বাজারে জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দোকানে তালা দেওয়ার বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471